‘জিততেই হবে’, বুদ্ধবাবুকে দেখতে ৩ দিন ৭২ কিমি ট্রাই-সাইকেল চালিয়ে হাসপাতালে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত তিন দিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্তি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Budhhadeb Bhattacharya)। বর্তমানে কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছেন তিনি। তাঁর সুস্থতা কামনায় গোটা রাজ্য। বুদ্ধবাবুর স্বাস্থ্যের খবর নিতে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছে কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূলও। তেমনই প্ৰিয় নেতাকে দেখতে আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে চলে এসেছেন এক সিপিএম কর্মী (Physically Challenged CPM Worker)। তবে ব্যাতিক্রম অন্য ক্ষেত্রে।

সাইকেল, বাস বা গাড়িতে চড়ে নয়, ৭২ কিলোমিটার দূর থেকে বুদ্ধবাবুকে দেখতে ট্রাইসাইকেলে চেপে হাসপাতালে পৌঁছেছেন রবি দাস। শুধু একটি বার কমরেডকে চোখের দেখা দেখতে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে ছুড়ে ফেলেছেন হালিশহরের রবি। বুদ্ধবাবুর অসুস্থতার খবর শুনেই শনিবার বাড়ি থেকে রওনা দেন রবি। হাতে টানা সাইকেল চালিয়ে সোমবার পৌঁছে গেছেন উডল্যান্ডসে।

চারিদিকে ঠাসা ভীড়, ক্যামেরার মাঝে এক কোণে ট্রাইসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে রবি। এতটা দূর আসতে গিয়ে রাস্তায় কিছুটা বিগড়েছে তার ট্রাইসাইকেল। সেই নিয়ে বাড়ি ফেরার চিন্তা থাকলেও প্রিয় নেতার অসুস্থতার সামনে তা তুচ্ছ। তার একটাই প্রার্থনা, কমরেড সুস্থ হয়ে উঠুন।

রবি জানিয়েছেন, ‘এর আগেও সিঙ্গুর, ব্রিগেডে ওঁর (বুদ্ধবাবু) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়েই পরশুদিন রওনা হয়েছিলাম।’ ২০১৯-এ বুদ্ধবাবু যখন শেষবার ব্রিগেড গেলেন, সেবারও হালিশহর থেকে এই ট্রাই সাইকেল চালিয়েই প্ৰিয় নেতার দরবারে পৌঁছেছিলেন রবি। এদিন হাসপাতাল চত্বরে মুষ্টিবদ্ধ হাতটা শূন্যে ছুড়ে তিনি বললেন, ‘এ লড়াই তো জিততেই হবে কমরেড।’

buddhadeb

প্রসঙ্গত, ফুসফুসে সংক্রমণ সহ বেশ কিছু সমস্যায় ভুগছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন গত ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওনার আর জ্বর আসেনি। কিছুটা উন্নতি হয়েছে। গতকালও চিকিৎসকেরা জানান, আগের থেকে এখন একটু ভাল আছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ভেন্টিলেশন থেকে বের করে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে স্থানান্তরিত করা হয়। চলছে বাইপ্যাপ সাপোর্ট। আগামী ২৪ ঘণ্টা নেতার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর