বাংলাহান্ট ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতির সবথেকে চর্চিত নামগুলির মধ্যে একটি সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। অভিনয় জগৎ থেকে উঠে এসে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের হাত ধরেন তিনি। তারপর থেকে এখনো পর্যন্ত রাজনৈতিক কেরিয়ারে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন সায়নী। এর মধ্যে সাম্প্রতিকতম বিতর্কের কেন্দ্রে একটি সংলাপ, ‘সায়নী লাগাও!’
রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছিল ‘সায়নী লাগাও’ শব্দবন্ধে। এর উৎস পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের এক জনসভা। মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলের যুবনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে মানস ভুঁইয়া বলে উঠেছিলেন, ‘সায়নী লাগাও!’ শুনে মুচকি হেসে অভিনেত্রী তথা যুবনেত্রী বলেছিলেন, ‘বলছে লাগাও! ঠিক বলেছে’।
বর্তমানে ভাইরালের যুগে এই সংলাপ ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। নেটদুনিয়ায় মিম থেকে ট্রোল ভিডিওতে ঘুরপাক খেয়েছে ‘সায়নী লাগাও’। এমনকি বিষয়টা কুরুচিকর দিকেও ঘুরেছে। ‘লাগাও’ এর নানান রকম অর্থ বের করে নেটদুনিয়ায় দেদারে চলেছে কুৎসিত মশকরা।
কিন্তু ‘সায়নী লাগাও’, ভাইরাল এই কথার আসল মানে কী তা জানেন? সায়নীকে কী লাগানোর কথা বলেছিলেন মানস ভুঁইয়া? এর উত্তর খুঁজতে হলে আগে জানতে হবে মানস ভুঁইয়ার জন্মস্থান কোথায়? সেখানেই রয়েছে ‘লাগাও’ রহস্যের সমাধান।
মেদিনীপুরের সবং গ্রামে জন্ম মানস ভুঁইয়ার। তাঁর কথাতেই রয়েছে সে অঞ্চলের ভাষার বিশেষ টান। ‘লাগাও’ কথাটি বহুল প্রচলিত সে অঞ্চলের বাসিন্দাদের মধ্যে। আসলে এর অর্থ শুরু করা। কোনো কিছু শুরু করা অর্থে ‘লাগাও’ শব্দটি ব্যবহার করে থাকেন সেখানকার মানুষ।
সেদিন মঞ্চে ‘সায়নী লাগাও’ বলতে যুবনেত্রীকে বক্তৃতা শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মানস ভুঁইয়া। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তা না বুঝে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ অর্থ জুড়ে দিয়েছেন মন মতো। শিবলিঙ্গে কন্ডোম বিতর্ক থেকে নজর সরিয়ে এখন ‘লাগাও’ এর ফাঁদে সায়নী ঘোষ।