বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের (Bollywood) বক্স অফিস কালেকশনের অবস্থা এখন খারাপ হলেও একথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে দেশের সবথেকে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউড। প্রতি বছর শয়ে শয়ে ছবি তৈরি হয় এই ইন্ডাস্ট্রি। তার মধ্যে কিছু ছবি হিট, সুপারহিট হয়, কিছু ছবি আবার ডাহা ফ্লপ (Flop) হয়।
বলিউডের এখন দুঃসময় চললেও অতীতে কিন্তু অনেক ফ্লপ ছবির উদাহরণ রয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে। খান অভিনেতারা সহ প্রথম সারির তারকারাও দিয়েছেন ফ্লপ। এমন কোনো অভিনেতাই নেই যাঁর কেরিয়ারে একটাও ফ্লপ ছবি নেই। তবে বলিউডের সবথেকে খারাপ ছবির তালিকায় কোন কোন নাম আছে জানেন? এই প্রতিবেদনে রইল সেই সমস্ত ছবির নাম যা প্রথম দেখাতেই ছুঁড়ে ফেলেছেন দর্শকরা-
রেস থ্রি– প্রথমেই নাম আসবে সলমন খানের ‘রেস থ্রি’র। রেস ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের ছবিদুটি হিট হলেও তৃতীয়টি একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে। একাধিক তারকা এনেও শেষরক্ষা করতে পারেননি ভাইজান।
রাস্কেলস– অক্ষয় কুমার এবং সঞ্জয় দত্ত অভিনীত ছবিটি বলিউডের সবথেকে খারাপ ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। না একথা আমরা বলছি না, বলছে দর্শক। উপরন্তু ছবিটির IMDb তে রেটিং মোটে ৩।
জানি দুশমন- এক অনোখি কাহানি- তারকাখচিত স্টারকাস্ট থাকা সত্ত্বেও ফ্লপ হয়েছিল ছবিটি।
কর্জ– সঙ্গীত জগতের গণ্ডি ছাড়িয়ে অভিনয়ে ভাগ্যপরীক্ষা করতে এসেছিলেন হিমেশ রেশমিয়া। কিন্তু দর্শক প্রত্যাখ্যান করে তাঁকে। হিমেশ অভিনীত কর্জ ছবিটিও রয়েছে ফ্লপ ছবির লিস্টে।
দ্য লেজেন্ড অফ দ্রোণ– প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার বলিউড কেরিয়ারের সবথেকে খারাপ ছবিগুলির মধ্যে এটি একটি। প্রিয়াঙ্কার বিপরীতে এই ছবিতে ছিলেন অভিষেক বচ্চন।
হিম্মতওয়ালা– অজয়ের কেরিয়ারে আরো একটি কলঙ্ক। তামান্না ভাটিয়ার সঙ্গে তাঁর জুটি, চিত্রনাট্য কোনোটাই পছন্দ করেনি দর্শক।
হামশকলস– সইফ আলি খান, রাম কাপুর এবং রিতেশ দেশমুখের কমেডি ছবিটি বলিউডের সবথেকে বড় ফ্লপ বলে দাবি দর্শকদের।
আদিপুরুষ– তালিকায় নবতম সংযোজন আদিপুরুষ। যে ছবিটি হিট হওয়ার সবরকম সম্ভাবনা ছিল তা এত বাজেভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে যা কহতব্য নয়।