বাংলা হান্ট ডেস্ক : তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। রাজ্যের সাংসদ ও নায়িকা নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) বিরুদ্ধে ২৪ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই তোলপাড় পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রতারণার মামলাও দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বিরোধীরা শানিয়েছেন ধারালো অভিযোগ।
নুসরত নিজে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ। এর মধ্যেই আজ, বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Reaction on Nusrat) সাংবাদিক বৈঠকের শেষে এই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
আজই সাংবাদিক বৈঠক করে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান মেনে নেন, যে সংস্থার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই মেসার্স সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের তিনি ডিরেক্টর ছিলেন। নুসরত এও স্বীকার করেন, যে ডিরেক্টর পদে থেকে ওই সংস্থা থেকে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, তিনি ঋণ নিয়েছিলেন। তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন।
এর পরে এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি নুসরতকে নিয়ে প্রশ্ন উঠলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলব না। এটা ওদের নিজেদের বিষয়, সেটা ওরা নিজেরাই বলবে। কিন্তু প্রমাণের আগেই দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হচ্ছে। ডিরেক্টর তো অনেকেই থাকে, নুসরত যদি কোনও জায়গার ডিরেক্টর থেকেও থাকে, তাহলে ওরকম ডিরেক্টর তো অনেক আছে।’
তিনি এদিন আরও বলেন, ‘ওদেরও তো (বিজেপির) কে একজন সাংসদ আছে, যার বিরুদ্ধে ইডি-তে কমপ্লেন আছে। যে বিদেশেও গিয়েছিল চিটফান্ডের মালিকের সঙ্গে। আমি নাম বলব না।’ এখানেই শেষ নয়, মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, ‘আমার বাড়িতেও একজন বিএসএফের ড্রেস পরে, বন্দুক নিয়ে এসেছিল। পুলিশকে ভয় দেখানো, চমকানো, বিডিওদের চমকানো-ধমকানো আমরা বরদাস্ত করব না।’