বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবারে একটি বড়সড় খবর সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। মূলত, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মমতা। সবথেকে উল্লেখযোগ্য হল, এই প্রকল্পে রয়েছে নন্দীগ্রামে রেলপথ হওয়ার বিষয়টি। এমতাবস্থায়, গত বুধবার নন্দীগ্রামে রেলের আধিকারিকদের প্রস্তাবিত রেলপথ পরিদর্শনের পরই আরও জোরালো হয়েছে এই সংক্রান্ত জল্পনা।
শুধু তাই নয়, খুব দ্রুত রেলপথের সঙ্গে নন্দীগ্রাম যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই নন্দীগ্রাম সংযুক্ত হবে রেলপথের মাধ্যমে। জানিয়ে রাখি যে, ২০০৯ সাল থেকে এই প্রকল্পের কাজ আটকে থাকলেও চলতি মাসেই ফের এটির কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রে ইউপিএ সরকারের আমলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হলেও তৃণমূল-কংগ্রেস ইউপিএ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পর হঠাৎই এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে অধিগ্রহণ এবং স্টেশনের কাজও কিছুটা এগিয়েছিল।
যদিও, শেষপর্যন্ত একটানা এতদিন ধরে এই প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে, কিছুদিন আগে সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী এই রেলপথের কাজ শুরু করার জন্য চিঠি দেন রেলকে। পাশাপাশি, দ্রুত এই কাজ শুরু হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এমতাবস্থায়, গত বুধবার রেলের আধিকারিকরা জায়গাটি পরিদর্শনে আসেন। পাশাপাশি, প্রস্তাবিত রেল পথের জায়গা পরিদর্শন করেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে শাখার জেনারেল ম্যানেজার অনিল কুমার মিশ্রাও। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পটি আটকে থাকলেও এবার শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে।
উল্লেখ্য যে, নন্দীগ্রাম থেকে দেশপ্রাণ রেল প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য হল ২২ কিমি। যেটির মধ্যে ১৮.৫ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ হওয়ার কথা নন্দীগ্রামে। পাশাপাশি, দেশপ্রাণ স্টেশনের আগে দিঘা-তমলুক রেললাইনের সঙ্গে এটি সংযুক্ত হবে নন্দীগ্রামে। এই কাজের জন্য জমি নির্ধারণ সম্পন্ন হলেও পুনরায় কিছু জমি চিহ্নিতকরণের কাজ হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, নতুন করে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতেই ফের আশায় বুক বাঁধছেন এলাকাবাসী।