‘রাজস্থান থেকে আসে বিদ্রোহীরা! দাঙ্গার দায় মুসলিম দেরই’, দাবি নুহর প্রধান সভার সভাপতি রফিকের

বাংলা হান্ট ডেস্ক : অশান্ত হরিয়ানা (Haryana)। নুহ (Nuh Violence) জেলায় ইসলামপন্থীরা দাঙ্গা চালানোর কয়েকদিন পর, একজন মুসলিম গ্রাম প্রধান এবং একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান বেশ কিছু দাঙ্গাবাজ, যারা হিংসা ও ভাঙচুরে লিপ্ত ছিল, তারা রাজস্থান (Rajasthan) এবং অন্যান্য এলাকা থেকে এসেছিল।

নুহের গ্রাম প্রধান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রফিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘শুধু আমার গ্রাম থেকেই ৬/৭ জন ছেলে ছিল যারা দাঙ্গায় অংশ নিয়েছিল।’ রফিক স্বীকার করেন যে দাঙ্গাকারীরা হামলা চালানোর পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ‘তাদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে দুই-তিনজন লুটপাট এবং পাঁচ থেকে সাতজন দাঙ্গায় জড়িত ছিল।’

বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলার সময়, ইরফান নামে একজন নুহ-র স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘৭-৮টি পিকআপ ভ্যান রাজস্থান থেকে এসেছিল। কিছু লোক রাজস্থান ও ফিরোজপুর ঝিরখা থেকে এসেছিল।’ তিনি আরও জানান, ‘তারা এলে অশান্তি শুরু হয়।’

nuh

নুহ সহিংসতায় ইসলামপন্থীদের ভূমিকা নিশ্চিত হওয়া গেলেও, স্থানীয় মুসলমানদের অংশগ্রহণ ছাড়া রাজস্থান এবং ফিরোজপুর ঝিরখার কিছু দাঙ্গাবাজ দ্বারা এত বড় আকারের সহিংসতা সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

জানা যাচ্ছে, রফিক এবং ইমরান স্থানীয় দাঙ্গাকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। তবে তাঁদের বক্তব্য স্থানীয় মুসলমানদের বাঁচানোর লক্ষ্যে হলেও মুসলমানরা হিন্দুদের উপর হিংসতা চালিয়েছিল। তাঁদের মতে, নুহ হিংসায় মুসলমানদের ভুমিকাকে কখনই ছোট করে দেখা উচিত নয়।

সোমবার ৩১ জুলাই, মেওয়াতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে জলাভিষেক শোভা যাত্রায় পাথর ছোড়া হয়। এরপরই হরিয়ানার বেশ কয়েকটি অংশে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। দাঙ্গাকারীদের ‘আল্লাহু আকবর’, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগানও তোলে। নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয় বজরং দলের এক কর্মীর।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর