বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল কলকাতা হাই কোর্টে ছিল নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে অভিষেক জিজ্ঞাসাবাদ মামলার শুনানি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলার শুনানি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এদিন ইডির (ED) আইনজীবী জানান অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে সংস্থা।
গতকাল শুনানিপর্বে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি ও ইডির আইনজীবী এসভি রাজু। এদিন অভিষেকের আইনজীবী অভিষেক বলেন, গত এক বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলছে। কখনও অভিষেকের নাম উঠে আসেনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেও তিনি হাজিরা দিয়েছেন। পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। তাই মামলা থেকে তার মক্কেলকে নিষ্কৃতি দেওয়া হোক।
অন্যদিকে আদালতে ইডির দাবি, শুধু জেলবন্দি কুন্তল ঘোষের চিঠি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হয়েছে এমনটা নয়। প্রাথমিক দুর্নীতির আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্যও তাকে তলব করা হয়। আদালতে ইডির আইনজীবী এম ভি রাজু বলেন, ‘‘সমন পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডাকা মানেই তাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, এমন কেন ভাবছেন তিনি?”
প্রশ্ন ছুড়ে ইডির আইনজীবী বলেন, “তিনি (অভিষেক) কী এতই প্রভাবশালী যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেও তলব করা যাবে না? তা হলে তো গোটা তদন্তই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! যদি তিনি কোনও দোষ না করে থাকেন, নির্দোষ হন তা হলে গ্রেফতারির ভয় কেন? কেন সমন এড়িয়ে যাছেন?”
শুধু তাই নয়! ইডির কথায়, “আজ অভিযুক্ত নন বলে, কালও যে হবেন না, এমনটা তো বলা যায় না।’’ দুপক্ষের কথা শুনে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মন্তব্য করেন, ‘আপনারা দু’জন দু’ ধরনের কথা বলছেন। আপনি বলছেন উনি অভিযুক্ত নাও হতে পারেন। আবার সিংভি বলছেন উল্টো কথা। দু’জনে সামনাসামনি হলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’
আজ শুক্রবার ফের এই মামলা শুনবেন বিচারপতি ঘোষ। তত ক্ষণ পর্যন্ত অভিষেকের রক্ষাকবচ বহাল থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, বর্তমানে চিকিৎসার জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশে রয়েছেন। অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা নেতার।