বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুরনো বলিউডের (Bollywood) সবথেকে বিতর্কিত অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পারভিন বাবি (Parveen Babi)। পেশাগত দিক দিয়ে তিনি যতটাই সফল ছিলেন, ব্যক্তিগত জীবনে ততটাই বিতর্ক ছিল তাঁকে নিয়ে। পরিচালক মহেশ ভাটের (Mahesh Bhatt) সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে সকলেই অবগত। তাঁদের সম্পর্কটা বলিউডের চিরকালীন গসিপের বিষয়। উপরন্তু পারভিন সম্পর্কে পরবর্তীকালে কিছু বিষ্ফোরক মন্তব্যও করেছিলেন মহেশ।
অনেক কীর্তি কেচ্ছা জড়িয়ে রয়েছে পারভিনকে নিয়ে। যার মধ্যে অন্যতম হল একটি ঘটনা, যখন বিনা পোশাকে মুম্বইয়ের রাস্তায় দৌড়াতে দেখা গিয়েছিল পারভিনকে। কেন এমন করেছিলেন তিনি? মহেশ ভাটের কথাতেই প্রয়াত অভিনেত্রী সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য উঠে আসে যা রীতিমতো শিহরণ জাগানোর জন্য যথেষ্ট।
জানা যায়, মানসিক সমস্যা ছিল পারভিনের। মহেশ জানিয়েছিলেন, একবার তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘর অন্ধকার করে এক কোণে বসে রয়েছেন অভিনেত্রী। পরনে তাঁর ফিল্ম কস্টিউম। হাতে একটি ছুরি নিয়ে তিনি ফিসফিস করে মহেশকে বলেছিলেন, ‘চুপ! ঘরে কেউ রয়েছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চায়।’ সেদিন সত্যিই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন মহেশ।
এরপরেই পারভিনকে নিয়ে তিনি চিকিৎসকের কাছে যান। জানা যায়, ‘সিজোফ্রেনিয়া’ নামে একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী। চিকিৎসা শুরু হলেও অদ্ভূত কাণ্ডকারখানা থামেনি পারভিনের। নিজেকে ঘরে বন্ধ করে রাখতেন তিনি। ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শেষমেষ বাধ্য হয়ে পারভিনকে মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যান মহেশ।
এই সময় নিজের প্রথম স্ত্রী লরেনের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন মহেশ। অন্যদিকে চিকিৎসার পর আবারও মুম্বই ফিরে আসেন পারভিন। কিন্তু চিকিৎসকরা অভিনেত্রীর শরীরের কথা ভেবেই মহেশের থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু পারভিন তাতে রাজি ছিলেন না।
এই সময়ই একদিন মাঝরাতে পারভিনের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান মহেশ ভাট। আর তাঁকে আটকাতে জামাকাপড় ছাড়াই রাস্তায় দৌড়াতে শুরু করেন অভিনেত্রী। কিন্তু মহেশকে না তিনি থামাতে পেরেছিলেন আর না পেরেছিলেন নিজের কাছে আটকে রাখতে। শেষ জীবনে সম্পূর্ণ একা হয়ে গিয়েছিলেন পারভিন। ২০০৫ সালের ২০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। আর দুদিন পর তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় দেহ।