বাংলা হান্ট ডেস্ক : সদ্য এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court) তার নির্দেশে বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Masjid) সমীক্ষার কাজের জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (Archeological Survey of India) কে অনুমতি দিয়েছে। এলাহাবাদ হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রেখেই এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফেও এই সমীক্ষায় এল সায়।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও জেপি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে এএসআই একটি লিখিত পেশ করে। যেখানে এএসআই জানিয়েছে সমীক্ষার কাজে কোনও মতেই খনন কাজ হবে না। এছাড়াও কোর্ট নির্দেশে জানিয়েছে, কোনও মতেই ওই স্থানটির কোনও ক্ষতি সাধন করা যাবে না সমীক্ষার সময়।
এছাড়াও আক্রমনাত্মক নয় বা অনুপ্রবেশবোধক নয়, এমন একটি পন্থায় চালাতে হবে এই সমীক্ষা। ফলে সমীক্ষার সময় যাতে কোনও মতেই ইমারতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে এএসআইকে। এর আগে, অঞ্জুম ইন্তোজামিয়া মসজিদ কমিটি, বারাণসী কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে। কোর্ট সেখানে এএসআইকে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষার নির্দেশ দেয় তবে সিল করা এলাকা বাদে এই সমীক্ষা করার কথা বলা হয়।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মসজিদ কমিটি দ্বারস্থ হয় এলাহাবাদ হাইকোর্টের। এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ কমিটির আর্জিকে খারিজ করে দেয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, এই সমীক্ষা চললে, ওই ধর্মস্থানের ইমারতের ক্ষতি হতে পারে। সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছিল,’ন্যায়বিচার করতে সমীক্ষা প্রয়োজন। সমীক্ষা কিছু শর্ত দিয়ে করা প্রয়োজন, সমীক্ষা করুন, তবে ড্রেজিং ছাড়াই।’ হাইকোর্টকে মসজিদ কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে, এই এএসআই সমীক্ষা হলে সম্ভবত মসজিদের ইমারত ভেঙে পড়বে। তবে এএসআই জানিয়েছে, ব়্যাডার ম্যাপিং কোনও মতেই ইমারতের ক্ষতি করবে।
গত ২৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২৬ জুলাই বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মসজিদে সমীক্ষা করতে পারবে না এএসআই। ততক্ষণে বারাণসী কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশ মসজিদ কমিটিকে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারও আগে ২১ জুলাই বারাণসী কোর্ট জানায়, মসজিদটি, মন্দির ভেঙে নির্মাণ হয়েছে , কি না, তা যাচাই করতেই এই সমীক্ষা প্রয়োজন। বহু আইনি পথ পেরিয়ে শেষমেশ এল সুপ্রিম কোর্টের বার্তা।