বাংলা হান্ট ডেস্ক : সকলে অবাক! ব্যালট বাক্স খুলতেই যা দেখা গেল তাতে ভিরমি চড়কগাছ। একটাও ব্যালট বৈধ নয়! তা কী করে হয়! পঞ্চায়েত নির্বাচনে এমনই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জে। ভোটের ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির খুব বেশি নেই। সব ভোট বাতিল হয়ে যাওয়ায় শুধুমাত্র ইডি ভোটেই বিচার করা হয়েছে। আর তাতে ১ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী (Trinamool Congress Candidate)। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। নতুন করে ভোট নেওযার আবেদন জানিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party)।
রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/৬৮ নম্বর বুথের ঘটনা। এই বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ১৩২৯ জন, বুথে মোট ভোট পড়েছিল ১০৪৯টি। ভোটের পর গণনার জন্য বাক্স খুলতেই অবাক হয়ে যান কাউন্টিং হলে উপস্থিত ভোটকর্মীরা। বাক্সে থাকা ১০৪৯টি ব্যালট পেপারের মধ্যে একটিও বৈধ নয়। কোনওটিতে নেই প্রিসাইডিং অফিসারের সই, কোনওটিতে বুথের নম্বর যুক্ত সিল ছিল না। ফলে সবকটি ব্যালটই বাতিল হয়ে যায়।
পরে গণনা হয় ইডি ভোটের। মোট ১০টি ইডি ভোট পড়েছিল সেখানে। সেই ভোট গণনা করে দেখা যায়, তৃণমূল ৫টি ভোট পেয়েছে। সিপিএম-এর প্রার্থী পেয়েছেন ৪টি ভোট, আর বিজেপি পেয়েছে ১টি ভোট। সেই নিরিখেই তৃণমূল প্রার্থী জয়নাল চৌধুরীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনাতেই বেঁকে বসেছেন বিজেপি প্রার্থী রাজীব সরকার। তাঁর দাবি, ওই বুথে আবার ভোট নেওয়া প্রয়োজন।
বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তৃণমূলকে জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে এখানে। নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ইডি ভোটের খামগুলিও খোলা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী বুথে পুনর্নির্বাচন চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপালকেও একটি কপি পাঠিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী জয়নাল চৌধুরীর বক্তব্য, ভোটকর্মীরাই তাঁকে হারানোর জন্য কারসাজি করেছে। তাঁকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ পত্র পাননি তিনি।