বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর বাকি কয়েকদিন। তার পরই হবে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন। তার আগে ঘোড়া কেনাবেচা! পূর্ব মেদিনীপুরের (West Mednipore) ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের আগে বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে টাকার বিনিময়ে দলবদলের প্রস্তাব। পাকড়াও তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে উত্তেজিত বিজেপি (Bharatiya Janata Party) কর্মীদের রোষের মুখে পুলিসও। গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গেরুয়া শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা।
পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভগবানপুর ব্লকের ইটাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২১টি। বিজেপি জয়ী হয় ১২টি আসনে। তৃণমূল পেয়েছে ৯টি আসন। গেরুয়া শিবিরের দাবি, বারোর মধ্যে বিজেপির বেশ কয়েকজন জয়ী প্রার্থীকে টাকার বিনিময়ে দলবদল করিয়ে পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে তৃণমূল মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছে।
অভিযোগ, দল ভাঙাতে টাকা ও পদের লোভ দেখিয়ে বিজেপির জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে যান এক তৃণমূল কর্মী। ঘাসফুল শিবির নেতৃত্বের নির্দেশে কুঞ্জপাড়া গ্রাম থেকে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ।
সেই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই প্রতিবাদে নামেন গ্রামবাসীরা। হাতেনাতে ধরা পড়ে যান তৃণমূলের পাঠানো দূত। তাকে ঘিরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় ভূপতিনগর থানার পুলিস। তাদের ঘিরেও দেখানো হয় বিক্ষোভ। অবশেষে তৃণমূলের পাঠানো দূতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিস পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উপপ্রধান পদের টোপ দিয়ে বিজেপির জয়ী সদস্যকে তৃণমূলে যোগ দিতে চাপ! এমনই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে নদিয়ার কালীনারায়ণপুর-পাহাড়পুর পঞ্চায়েতে। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার-সহ সভানেত্রী পূর্ণিমা দত্তর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন তাঁরই দলের এক জয়ী সদস্য। পূর্ণিমা দত্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যদিও এই ইস্যুতে রাজনীতি চলছে জোরকদমে।