বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের (Bangladesh) পর এবার পড়শি দেশ ভুটানের (Bhutan) সঙ্গে রেলপথে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেল সংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য হল, দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পকে বাড়ানোর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করা। এই প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়েছেন, ভুটানও ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুটানের সঙ্গে মোট তিনটি রুটে যোগাযোগ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলওয়ের এই উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করবে সে কথা বলাই বাহুল্য। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ এস জয়শঙ্করের কথায়, “ভুটান এবং আসামের মধ্যে রেল সংযোগ নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, ভুটান পর্যটকদের জন্য আরও যোগাযোগের পয়েন্ট খুলতে খুব আগ্রহী এবং এটি অসমের জন্য খুব ভালো হতে চলেছে।”
সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে খুব শীঘ্রই ভারত-ভুটানের মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা শুরু করবে ভারতীয় রেল। অসম থেকে এই সংযোগ স্থাপন হওয়ায় সমগ্র পুর্ব ভারত থেকে ভুটানে যাওয়া সহজ ও কম খরচ সাপেক্ষ হয়ে যাবে। খুব সহজেই কলকাতা থেকে এনজেপি হয়েও ভুটান পৌঁছাতে পারবেন পর্যটকরা।
এদিকে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ও এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস শুরু হওয়ায় দক্ষিণ বঙ্গের মানুষের কাছেও ভুটানের সফর সহজ হয়ে যাবে। এমনিতেও পর্যটকদের কাছে ভুটান অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। এই রেলপথ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে কলকাতা থেকে ভুটানে যাওয়া পর্যটকদের সংখ্যাও অনেক বেড়ে যাবে।
এদিকে নর্থ ইস্টার্ন রেলওয়ে (NFR) এর একটি সরকারী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসির অংশ হিসাবে, ভারতীয় রেলওয়ে মিজোরামের মায়ানমার সীমান্তকে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যেই মায়ানমার সীমান্তের কাছে মিজোরামের হবিচুয়াহ থেকে সাইরাং (আইজল) পর্যন্ত 223 কিলোমিটারের সমীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে রেলওয়ে বোর্ড।
নর্থ ইস্টার্ন রেলওয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, এটি মায়ানমারের সিটওয়ে বন্দরের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বে পণ্য পরিবহনের খরচ এবং সময় অনেকটাই কমিয়ে আনবে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বন্দর, নৌপরিবহন এবং জলপথ মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মায়ানমারের এই সিটওয়ে বন্দরটি। জানিয়ে রাখি, খুব শীঘ্রই মায়ানমার সীমান্তে 111 কিলোমিটার দীর্ঘ ইম্ফল-মোরে রেললাইন সংযোগ প্রকল্প নিয়েও আলোচনা শুরু হতে পারে।