বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) ঘিরে হাজারো কাণ্ড। বহু টালবাহানার মধ্য দিয়ে ভোট মিটলেও একাধিক পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে সমস্যা। এরই মধ্যে এক অবাক ঘটনা ঘটল কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের এলাকায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্চায়েতটিতে জয়লাভ করে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তবে তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী ও সিপিএমের দুই জন জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে বোর্ড দখল করল বিজেপি (BJP)। কিভাবে সম্ভব!
সব রং যেন মিলে মিশে একাকার। প্রসঙ্গত রুই পুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২টি। গত নির্বাচনে ২২ টির মধ্যে ১৩ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএম পায় ২টি আসন ও বিজেপির ঝুলিতে আসে ৭ টি আসন। ভোটের পর তৃণমূলের ১জন জয়ী প্রার্থীর মৃত্যু হলে শাসক দলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ টিতে।
অন্যদিকে, এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্বে তৃণমূলের পছন্দের সদস্যকে মেনে নিতে না পেরে তৃণমূলেরই জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে ২জন বেঁকে বসে। দলের বিরোধিতা করতে গিয়ে বোর্ড গঠনের সময় বিজেপির সাথে হাত মেলান তারা। যার ফলে প্রথমদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও পরবর্তীতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ টি।
সব শেষে সিপি(আই)এমের ২জন জয়ী প্রার্থী ও শাসকদলের বিক্ষুব্ধ দুই প্রার্থীর সমর্থনে মঙ্গলবার রুই পুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান হন তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী অনুপ বিশ্বাস। অন্যদিকে উপপ্রধানের দায়িত্ব পান বিজেপির জয়ী প্রার্থী সুপ্রিয়া মণ্ডল।
ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিআইএমের জয়ী প্রার্থী ইসরাফিল শেখ বলেন, স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়ে তুলতে আমরা একজোট হয়ে পঞ্চায়েত বোর্ড টি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এই দিন সকাল থেকেই রুই পুকুর গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সামনে ছিল করা পুলিশী প্রহরা। যদিও নির্বিঘ্নেই ঘটে সবটা।