বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের একবার কালো টাকার (Black Money) পাহাড় ভাঙল লোকাযুক্তের টিম। মঙ্গলবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১০ কোটিরও বেশি সম্পদ। আর এই সবটাই যে বে আইনি তা নিশ্চয় আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। একজন মামুলি স্টোর কিপার কীভাবে এত টাকার সম্পদের মালিক হতে পারে তা ভেবেই হয়রান হচ্ছে মানুষ। যদিও ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। এক অবসরপ্রাপ্ত স্টোর কিপারের বাড়িতে হানা দিয়ে এই বেআইনি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এইদিন অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ও ব্যক্তির বেশ কিছু বাড়িতে অনুসন্ধান চালায়। জানা গেছে, ভোপাল ও বিদিশা জেলার লাতেরিতে অবস্থিত বাড়ি থেকে প্রচুর টাকার সম্পদ উদ্ধার করেছে তারা।
লোকাযুক্তের এসপি মনু ব্যাস জানিয়েছেন, ‘লাতেরির বাসিন্দা আশফাক আলি আগে রাজগড়ের জেলা হাসপাতালের স্টোর কিপার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পদ উপার্জনের অভিযোগ দায়ের হয়।’ পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের সদস্যদের নামে ১৬ টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া গেছে এবং ভোপাল-বিদিশা ও লাতেরিতে প্রায় ৫০ টিরও বেশি স্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
লোকাযুক্ত এসপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আশফাক আলী যখন স্টোর কিপারের পদ থেকে অবসর নিয়েছিলেন, তখন তার বেতন ছিল প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। কিন্তু অভিযানের সময় যে সম্পত্তি, নগদ এবং গয়না পাওয়া গেছে তা তার আয়ের থেকে কয়েকশ গুণ বেশি। স্থাবর সম্পত্তির পাশাপাশি লাতেরিতে ১৪ হাজার বর্গফুটের একটি নির্মাণাধীন শপিং কমপ্লেক্সও পাওয়া গেছে বলে খবর।
এছাড়া একটি তিনতলা বাড়ির হদিশও মিলেছে যেখানে একটি প্রাইভেট স্কুল খুলেছিল অভিযুক্ত। বাড়ি থেকে প্রায় ৪৬ লক্ষ টাকার গহনা এবং প্রায় ২০ লক্ষ টাকার নগদ ক্যাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাধারণ মানুষ তো বটেই পাশাপাশি ভোপাল পুলিশ অবধি অবাক হয়ে যায় আশফাক আলির বাড়ির আতিশয্য দেখে। সকলের মনেই প্রশ্ন যে, একজন স্টোর কিপার কীভাবে এত টাকার সম্পদের মালিক হলেন? আপাতত সেটাই খতিয়ে দেখছে ভোপাল পুলিশ।