বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে গোটা একটা বছর, এখনও জামিন অধরা হেভিওয়েট এই নেতার। বাংলার সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে কেষ্টর ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। অন্যদিকে, তদন্তে অসহযোগিতার অভাবে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।
বাবা ও মেয়ে দুজনেই ছাড়া পাওয়ার জন্য আইনি লড়াই লড়ছেন। আর অন্যদিকে, কেষ্ট-সুকন্যার অনুপস্থিতিতে কার্যত খাঁ খাঁ করছে তাদের বীরভূম (Birbhum) জেলার নীচুপট্টির আকাশি নীলরঙা দোতলা বাড়ি। একসময় যেই বাড়িতে গমগম করত মানুষ এখন জনশূন্য সেই জায়গা। একটা সময় এই বাড়ি থেকেই নিয়ন্ত্রিত হতো গোটা জেলার রাজনীতি। রাত-দিন বাড়িতে কত তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ভিড়।
বর্তমানে বদলে গিয়েছে গোটা চিত্র। এলাকাও শুনশান। কেও কেও আবার কেষ্টর দোতলা পেল্লায় বাড়ির সামনে দিয়ে গেলে টুক করে কয়েকটা সেলফিও তুলে নেন। অনুব্রত, সুকন্যা তো জেলে, তাহলে নেতার এত বড় বাড়িতে এখন কে থাকছেন? জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মী ছাড়া এখন আর সেই বাড়িতে কেউ থাকেন না। তিনি একাই গোটা বাড়ি দেখেন।
আরও পড়ুন: ‘আজ বিচারককে সব মনের কথা বলে দিয়েছেন অনুব্রত’, যা বললেন কেষ্টর আইনজীবী…
অন্যদিকে, অনুব্রতর বাড়ির অদূরেই তার ভাই সুব্রতর বাড়ি। সূত্রের খবর, সুকন্যা গ্রেফতারির পর থেকে পাল্টে গিয়েছে দাদা-ভাইয়ের সম্পর্কের সমীকরণ। তাই ভুল করেও কখনও দাদার বাড়ি মুখো হন না। তবে আশ্চর্যের বিষয় মাঝেমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে এসে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: অনুব্রত না থাকার সদ্ব্যবহার, নিজেকেই কেষ্ট মনে করছেন এই নেতা! তুলকালাম সিউড়িতে
যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তারা বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক। কেষ্টর বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাই তাদের কাজ। এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘মাঝে মাঝেই কিছু লোক বাড়িতে আসেন। দরজা খুলে দেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা। এরপর তারা বাড়ি সহ বাড়ির আশেপাশের আগাছা পরিষ্কার করেন। তবে তারা কেউই অনুব্রতর পরিচারক নয়।’ এবার এই লোকজনেরা কারও নির্দেশে আসেন নাকি কেবলমাত্র কেষ্টর অনুগামী বলেই আসেন সেই নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরী হয়েছে।