বাংলা হান্ট ডেস্ক : আপনি নিশ্চয়ই লটারির (Lottery) মাধ্যমে রাতারাতি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা শুনেছেন। একটি লটারির টিকিট একজনকে ফুটপাথ থেকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর এবার এটাই সত্যি হয়ে গেল বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আদিত্য মণ্ডল (Aditya Mondal)। এলাকার লোকজনের কাছে গোলাপ নামে পরিচিত এই ব্যক্তির ভাগ্যই বদলে গেল।
আদিত্য ওরফে গোলাপ পেশায় একজন হোটেল কর্মী। মাঝেমাঝে ঠেলায় খাবারের দোকানও দেন। অভাব না থাকলেও খুব বেশি সুখ স্বাচ্ছন্দ্যও ছিলনা জীবনে। তবে কে জানত যে, একটা লটারির টিকিট এভাবে গোটা জীবন বদলে দেবে! মাত্র একটা লটারির দৌলতে এই গোলাপ এখন কড়কড়ে ১ কোটি টাকার মালিক।
এইদিন লটারিতে ১ কোটি টাকা জেতার খবর পেয়েই সেই টিকিট নিয়ে সোজা সাঁইথিয়া থানায় পৌঁছে গিয়েছিলেন গোলাপ। বিষয়টা সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ অফিসারকে জানাতেই সাঁইথিয়া থানার পুলিশ তাকে সুপরামর্শ দেন। কোথায় গিয়ে এই টিকিট তিনি জমা দেবেন এবং সেখানে টিকিট জমা করলে তিনি ঠিক কত টাকা পাবেন সবটাই তাকে জানিয়ে দেয় পুলিশ।
আরও পড়ুন : AI কাড়তে পারবে না চাকরি! কর্মচারীদের স্বার্থে বড় সিদ্ধান্ত নিল মহিন্দ্রা, প্রশংসা দেশজুড়ে
এই প্রসঙ্গে গোলাপ জানিয়েছেন, “আমি আগেও অনেক বার লটারির টিকিট কেটেছি। কিন্তু কোনও বারই এত টাকা পাইনি। কখনো পেয়েছি ৪৫,০০০ টাকা তো আবার কখনও পেয়েছি ৯০,০০০ টাকা। এমনকি, নিজের কাছে টাকা না থাকলেও লোকের থেকে টাকা ধার নিয়ে লটারির টিকিট কেটেছি। তবে এইবারে আমি ১ কোটি টাকা জিতেছি। যখন টাকা জেতার খবর জানতে পারি, খুব আনন্দ হয়েছিল। তারপরই আমি লটারির টিকিট নিয়ে সাঁইথিয়া থানায় যাই। ওরা আমায় বলেন, কোথায় গিয়ে টিকিট জমা করলে টাকাটা আমি পাব। তারপরই আমি সেই টিকিট জমা দিয়ে আসি। আমার বাড়ির লোক থেকে পাড়া প্রতিবেশী সবাই খুবই খুশি।”
আরও পড়ুন : লিক হচ্ছে তথ্য! প্লে স্টোর থেকে রাতারাতি ৪৩টি জনপ্রিয় অ্যাপ সরাল গুগুল, আপনার ফোনে নেই তো?
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গোলাপ কিন্তু এই প্রথম লটারি কাটছেননা। বিগত ৬ বছর ধরেই তার নিয়মিত টিকিট কাটার অভ্যাস রয়েছে। এমনকি নিজের টাকা না থাকলে লোকের থেকে টাকা ধার নিয়েও টিকিট কেটেছেন তিনি। লটারি জিতেছেনও অনেকবার। তবে এবারের ঘটনা তো রীতিমতো জ্যাকপট। তার গোটা জীবন শৈলী বদলে দিতে পারে এই লটারির টাকা। এমনটাই জানাচ্ছেন বীরভূমের গোলাপ।
এইমুহুর্তে গোলাপের পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে। স্ত্রী, মা দুই সন্তান ছাড়াও রয়েছে এক বোন। এদের সকলের গ্রাসাচ্ছাদনের দায়ভার গোলাপের কাঁধের উপর। তাই গোলাপের লটারির জেতার খবরে আনন্দে আত্মহারা তারাও। এই বিষয়ে আদিত্য ওরফে গোলাপ আরও জানাচ্ছেন, এবার ঠেলার বদলে একটা নিজস্ব ব্যবসা খুলবেন তিনি। আর বাকি টাকা সরকারি ভাবে পোস্ট অফিসে রাখবেন।