বাংলা হান্ট ডেস্ক : দীঘা (Digha) নামটা শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সমুদ্র সুন্দরীর ঢেউ, গর্জন, কিছুটা ভিড় আর বিস্তৃত জলরাশি। কাছে পিঠে সমুদ্র দর্শনের কথা বললে মানুষ সবার আগে দীঘার নামটাই ভাবে। কারণ এতে খরচও যেমন কম হয় তেমন কম সময়ের মধ্যে ঘুরেও আসা যায়। তবে এই আবেগর স্থানটির পুরনো নাম (Former Name) কী ছিল সেটা জানা আছে কি?
আজকের দিনে দীঘা মানুষের অন্যতম পছন্দের জায়গা ঠিকই তবে দীঘার ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই অবগত নন। বহু নামীদামী মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল দীঘা। দীঘা থেকে ঘুরে গেছেন ব্রিটিশ আমলের ওয়ারেন হেস্টিংস অবধি। তার মুখে শোনা গেছে দীঘার তারিফ। যদিও তখন দীঘার নাম অন্যকিছু ছিল।
দীঘার ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের সফর থেকে শুরু করে সুবিস্তৃত ঝাউ বন, উত্তাল ঢেউ, এখানকার স্থানীয় মানুষজন….এই সবকিছু নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। যতবারই ঘুরে আসা হোক না কেন, দীঘা যেন কোনদিন পুরনোই হয়না। আর দীঘার এই অমোঘ আকর্ষণের কারণেই ওয়ারেন হেস্টিংস এবং ব্রিটিশরা দীঘার এক মর্যাদাপূর্ণ নাম রেখেছিল।
আরও পড়ুন : DA মামলায় জয়! ৪ সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হবে, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
সময়ের সাথে সাথে সেই নাম বিলুপ্ত হয়ে গেছে যদিও। আজ থেকে কয়েক দশক আগে ওয়ারেন হেস্টিংস তৎকালীন দীঘার নাম রেখেছিলেন ‘প্রাচ্যের ব্রাইটন”। দীঘার প্রকৃত নাম বীরকুল যা অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে আবিষ্কৃত হয়। হেস্টিং তার স্ত্রী মিসেস হেস্টিংসকে লেখা তার একটি চিঠিতে লেখেন, ‘বীরকুল ছিল স্যানিটারিয়াম, প্রাচ্যের ব্রাইটন।‘ বর্তমানে এই ‘বীরকুল”ই দিঘা নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন : সৌরভ চৌধুরীকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! গ্রেফতার যাদবপুরের আরও দুই পড়ুয়া
এছাড়াও ১৯২৩ সালে জন ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামে এক ব্রিটিশ ভ্রমণকারী এখানকার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দীঘায় বসবাস শুরু করেন। তার লেখালেখির চিঠিপত্র দেখে দীঘা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ বাড়ে। পরবর্তী সময়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়কে উৎসাহ দেন এখানে পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি করতে।