বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ নিজের ৫০ তম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টার ফল পাওয়া গেল না। দীর্ঘদিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ হারের লজ্জার মুখ দেখলো ভারত। টানা আটটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতার পর নবম টি-টোয়েন্টি সিরিজে খাতায় কলমে অনেক দুর্বল দলের বিরুদ্ধে আর স্বীকার করলো মেন ইন ব্লুজ। হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে প্রথম সিরিজ হারের মুখ দেখল ভারতীয় দল। হেরে অধিনায়ক হার্দিক পড়লেন এই হাড় থেকে তারা শিক্ষা নেবেন এবং কোন কোন সময় হেরে যাওয়াটা দলের পক্ষে ভালো।
কিন্তু এই হারের জন্য দোষী কে? অনেকেই এই হারের জন্য হার্দিক পান্ডিয়ার অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকে দায়ী করছেন। কোন প্রতিপক্ষকেই খেলার মাঠে যে হালকাভাবে নিতে নেই সেই নীতি যেন ভুলে গিয়েছিলেন অধিনায়ক হার্দিক। ভারতকেই লজ্জার সিরিজ মুখোমুখি হতে হলে এমন একটি দলের বিরুদ্ধে যারা এখন গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য যোগ্যতাই অর্জন করতে পারেনি।
এদিন ভারতীয় ব্যাটিং সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। একমাত্র উজ্জ্বল ছিলেন সূর্যকুমার। তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়েছিলেন তিলক ভার্মা (২৭)। তবে হোল্ডারের শিকার হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৬১ রানের ইনিংসটি নিচের ৫০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে ছেলে ছিলেন স্কাই, সেটাই ভারতকে নিয়ে যায় ২০ ওভারের শেষে ১৬৫ রানের স্কোর অবধি।
আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়বেন রোহিত শর্মা! কড়া সিদ্ধান্ত নিলো BCCI
ব্যাট হাতে এই সিরিজে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেলরা। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একটি ম্যাচে ভালো খেললেও শুভমান গিল ও যশস্বী জয়সওয়ালের জুটি সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে ব্যর্থ। ক্যারিবিয়ান দলের হয়ে আকিল হোসেন (২/২৪) এবং রোমারিও শেফার্ড (৪/৩১) দুর্দান্ত বোলিং করে ভারতকে একটি ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে কম রানে বেঁধে ফেলতে সমর্থ হন।
আরও পড়ুন: ফের ভারতীয় দলের কোচ বদল! বিশ্বকাপের আগে চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিলো BCCI
রান তাড়া করতে নেমে ব্রেন্ডন কিং-এর ব্যাটের ঝড়ের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে যায় ভারতের বোলিং। অর্শদীপ দ্বিতীয় ওভারেই অপর ওপেনেরকে ফিরিয়ে একটা ধাক্কা দিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু তার কোনও প্রভাব ম্যাচে পড়তে দেননি তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামা নিকোলাস পুরান (৪৭)। তিনি শেষ অবধি ক্রিজে থাকতে না পারলেও গড়ে দিয়ে এসেছিলেন ভারতের হারের ভিতটা। পরবর্তীতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য বোলিং করতে আসা তিলক ভার্মা একটি উইকেট পান, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। একমাত্র কুলদীপ যাদব কিছুটা কৃপণ বোলিং করে নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়েছিলেন। দুই ওভার বাকি থাকতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন কিং। নিজে অপরাজিত থাকেন ৫৫ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কা সহযোগে ৮৫ রানের একটি ইনিংস খেলে।