বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO-র জন্য একটা স্মরণীয় বছর হতে চলেছে ২০২৩। চলতি বছরে একাধিক আন্তঃগ্রহ মিশনের (Interplanetary Mission) লক্ষ্য নিয়েছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গ্যানাইজ়েশন বা ISRO। চাঁদের পর এবার ইসরোর পৌঁছে যাবে সূর্যের কাছে। তার জন্যই কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO। ইতিমধ্যে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে সেই প্রস্তুতি। সামনে এল বড় আপডেট।
একথা তো সকলেই জানেন যে, পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার এবং তার অগ্রগতির মূল কারণ সূর্য (Sun)। পাশাপাশি এই জ্বলজ্বলে হলুদ রঙের এই নক্ষত্রটি সৌরজগতের (Solar System) মধ্যমণিও বটে। আর এই সূর্য ঘিরেই রয়েছে নানা কৌতূহল। বহুদিন ধরেই সূর্যের বিষয়ে নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই দৌড়ে ভারতের মহাকাশবিজ্ঞানীরাও।
সম্প্রতি সেটা নিয়েই সামনে এল বড় আপডেট। জানা যাচ্ছে সৌর অভিযানের মূল মহাকাশযান এখন রয়েছে শ্রীহরিকোটায়। লঞ্চ ভেহিক্যালের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের কাজ চলছে এখন। এবং এটি লঞ্চ করা হবে PSLV-C57 এর মাধ্যমে। যদিও ঠিক কবে নাগাদ এটি লঞ্চ হবে সেই খবর এখনও পাওয়া যায়নি তবে এক ISRO আধিকারিক জানিয়েছেন,”সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে উৎক্ষেপণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” উল্লেখ্য, উপগ্রহটি তৈরি হয়েছে বেঙ্গালুরুর UR Rao Satellite Centre-এ।
আরও পড়ুন : ভারতে প্রথম কোথায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল? উত্তর দিতে পারেন না জ্ঞানীগুণীরাও
ভারতের এই মহাকাশযানটিকে সূর্য-পৃথিবী সিস্টেমের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট 1 (L-1) এর চারপাশে একটি হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে বলে ধারণা। এই পয়েন্টটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ‘ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট’ মহাকাশের সেই বিন্দুগুলিকে বোঝায় যেখানে দুটি জ্যোতিষ্কর (যেমন সূর্য এবং পৃথিবী) মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আকর্ষণ এবং বিকর্ষণের ক্ষেত্র তৈরি করে। তাছাড়া এই অবস্থানের একটি বিশেষত্ব হল, কোনওরকম বাধা ছাড়াই সর্বক্ষণ সূর্যকে দেখতে পারবে Aditya L-1। গ্রহণের সময়েও সমস্যা হবে না।
আরও পড়ুন : বসবাসের অযোগ্য পাকিস্তান-বাংলাদেশের এই শহরগুলি! কত নম্বরে ভারত? তালিকায় বড় চমক
কী লক্ষ্য এই অভিযানের : Aditya L-1 সূর্যের আপার ডায়নামিক্স নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি ক্রোমোস্ফিয়ার এবং কোরোনা নিয়েও গবেষণা করবে। সূর্যের তাপমাত্রা নিয়েও গবেষণা করবে এই স্যাটেলাইট। পাশাপাশি গবেষণা চলবে সূর্যের চৌম্বকীয় তরঙ্গ (Solar Magnetic Field) নিয়েও। ঔসৌর বায়ু বা Solar Wind এবং সৌর ঝড় এইসব নিয়েও গবেষনা চালাবে ইসরো।
একাধিক পো-লোড : Aditya L-1-এ মোট সাতটি পে-লোড থাকবে। যারমধ্যে চারটি পো-লোড সূর্যের থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। এছাড়া ক্রোমোস্ফিয়ার ও কোরোনা নিয়েও গবেষণা করবে। বাকি তিনটি পো-লোড-কে আরও অন্যান্য কাজে লাগানো হবে বলে খবর।