ইনস্টাগ্রামে অজস্র ফলোয়ার থাকার জের! সন্তানদের সামনেই স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুন স্বামীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল সবাই খুব অ্যাক্টিভ। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ছাড়া যেন এখন কারোর এক পা চলে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগের পর্যন্ত পোস্ট শেয়ার না করলে যেন পেটের ভাত হজম হয় না। কিন্তু, এই ইনস্টাগ্রাম যে উত্তরপ্রদেশের গৃহবধূর মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবে তা কে জানতো।

ইনস্টাগ্রামে (Instagram) স্ত্রীর প্রচুর ফলোয়ার, সেই রাগেই সন্তানদের সামনে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করলেন লখনউয়ের (Lucknow) এক ব্যক্তি। সূত্রের খবর , রবিবার ভোরবেলা হাইওয়েতে গাড়ির মধ্যেই খুন করলেন স্ত্রীকে। আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ। আর এই গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে অভিযুক্তের কন্যা।

উল্লেখ্য , অভিযুক্ত বা তাঁর স্ত্রীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, গত ১৫ বছর ধরে স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন তিনি। সাড়ে ১২ বছর বয়সি কন্যা ও পাঁচ বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে ওই দম্পতির। লখনউয়ের বাসিন্দা অভিযুক্তের একটি পর্যটন সংস্থা রয়েছে। তাঁর স্ত্রী গৃহবধূ হলেও ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারের তালিকা বেশ বড় ছিল।

তবে ইনস্টাগ্রাম থেকে নিজের স্বামীকে ব্লক করে দেওয়া নিয়েই দম্পতির মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযুক্তের সন্দেহ ছিল, তাঁর অনুপস্থিতিতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন তাঁর ইনস্টাগ্রাম ফলোয়াররা। আর তা নিয়ে একাধিকবার বচসা হয় দম্পতির মধ্যে। এদিকে, রবিবার সপরিবারে গাড়িতে চেপে বেড়াতে বেরোন।

এরপর ভোর পাঁচটা নাগাদ গাড়ি নিয়ে হাইওয়েতে পৌঁছে চলন্ত গাড়ির মধ্যে সন্তানদের সামনেই ফের ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার নিয়ে বচসা শুরু হয় । সুলতানপুর এলাকায় গাড়ি পৌঁছনোর পরেই দু’জনের ঝামেলা চরমে ওঠে। রাগের মাথায় চলন্ত গাড়ির মধ্যেই স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে স্বামী ।

minor girl murder case tiljala

গাড়িতে বসেই চোখের সামনে মা’ এর খুনের সাক্ষী থাকে দুই সন্তান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ নাবালিকা কন্যার বয়ানের উপর ভিত্তি করে তার বাবাকে গ্রেফতার করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর