বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একবার বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হলেন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনকুবের গৌতম আদানি (Gautam Adani)। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, আদানি গ্রুপের (Adani Group) ১০ টি লিস্টেড কোম্পানির শেয়ারেই গত সোমবার ব্যাপকভাবে পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। যার ফলে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ এক ধাক্কায় ২৫,০০০ কোটি টাকা কমেছে।
মূলত, গৌতম আদানির নেতৃত্বাধীন আদানি গ্রূপের অন্তর্ভুক্ত সংস্থা আদানি পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড (APSEZ) থেকে ডেলয়েট হাসকিন্স অ্যান্ড সেলসের ইস্তফার পরে আদানি গ্রুপের শেয়ারে এর প্রভাব দেখা যায়। পাশাপাশি, আদানির সম্পদ ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮.২ বিলিয়ন ডলারে।
এর ফলে বর্তমানে আদানি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদের তালিকায় ২২ নম্বরে নেমে এসেছেন। এদিকে, ট্রেডিংয়ের সময় আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারে ৫.৪ শতাংশের পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। যেটি শেষ পর্যন্ত ৩.৩ শতাংশ কমে ২,৪৫৬ টাকায় বন্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: আম্বানি-টাটা-আদানি নয়! বরং ভারতের সবথেকে দানশীল ব্যক্তি হলেন ইনি, অবাক করবে তাঁর কর্মকাণ্ড
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ডেলয়েট গত ৬ বছর ধরে আদানি পোর্টের অডিটর ছিল। কিন্তু শনিবার ওই সংস্থা পদত্যাগ করেছে। এমতাবস্থায় আদানি পোর্টস জানিয়েছে যে, তারা ডেলয়েটের পদত্যাগ গ্রহণ করেছে এবং নতুন অডিটর হিসেবে এমএসকেএ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে নিয়োগ করেছে। উল্লেখ্য যে, আদানি পোর্টের শেয়ার সোমবার প্রায় ২ শতাংশ কমেছে। এদিকে, অম্বুজা সিমেন্টের শেয়ার ৩.৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৪৪১ টাকায় বন্ধ হয়েছে। এছাড়াও, আদানি ট্রান্সমিশনের ক্ষেত্রে শেয়ারে ২.৮ শতাংশ পতন পরিলক্ষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোটা বিশ্ব কাঁপিয়ে দিলেন আদানি ও পুতিন! ফিরে পেলেন নিজেদের হারানো মর্যাদা, প্রকাশ্যে এল বড় তথ্য
হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ: এদিকে, ইতিমধ্যেই মার্কেট রেগুলেটর SEBI আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের অভিযোগের তদন্ত শেষ করার জন্য অতিরিক্ত ১৫ দিনের সময় চেয়েছে। যদিও, আদালত SEBI-কে ১৪ অগাস্টের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। উল্লেখ্য যে, মার্কিন শর্ট সেলিং ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আদানি গ্রুপের প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। যেখানে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ সামনে আনা হয়। তবে, আদানি গ্রুপ ওইসব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ওই রিপোর্টের জেরে আদানি গ্রুপ বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়।