বাংলা হান্ট ডেস্ক : ‘আমি লাল কেল্লা থেকে আপনাদের সম্বোধন করতে পরের বছর আবার ফিরে আসব’ – ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপির (Bharatiya Janata Party) জয় সম্পর্কে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দিল্লির লাল কেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে তাঁর গলায় ছিল ভরপুর আত্মবিশ্বাসের সুর। কিন্তু চারিদিকে যখন মোদি বিরোধী হাওয়া, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন বিরোধীরা, হাতছাড়া একাধিক রাজ্য, সেই পরিস্থিতিতে জয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী এতটা নিশ্চিত কিভাবে?
এক, প্রধানমন্ত্রী মোদি দৃঢ়ভাবে মনে করেন যে তিনি গত নয় বছর ধরে দুর্নীতিমুক্ত শাসন পরিচালনা করেছেন। গত বছর সাধারণ নির্বাচনে মানুষ তাঁদের উজাড় তাদের ভোট দিয়েছিলেন, এবং মানুষের বিশ্বাস তিনি রেখেছেন। আর তাই মানুষ বিজেপিকে ফের পুরস্কৃত করবে।
দ্বিতীয়ত, মোদি মনে করেন যে তিনি সর্বদা জাতীয় স্বার্থেই কাজ করেছেন। দেশকে শক্তিশালী করতে যা যা করা দরকার তা তিনি করেছেন। তাঁর সমস্ত কাজগুলিই ভারতের পক্ষে হয়েছে। সাধারণ নির্বাচনের জন্য মোদির প্রচার করা এই থিমগুলির চারপাশে এতটাই মানুষকে প্রভাবিত করবে- যে জনগণ বুঝবে ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’র প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন মোদি।
মোদির দাবি, দেশের মানুষ আরও একটি স্থিতিশীল এবং পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার চাইছে। এবং তা অবশ্যই বিরোধীদের তৈরি ভারত জোটের প্রতিশ্রুত মতো ‘খিচুড়ি মার্কা সরকার’ নয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় বিশ্বাস দেশ অস্থিতিশীল জোট সরকার বা রাজনৈতিক রাজবংশদের নির্বাচনে ভোট দেবেন না। মানুষ চায় বিজয়ী দল স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে যাতে দেশের বড় সংস্কার করা সম্ভব হয়। সোনিয়া গান্ধীর অধীনে ইউপিএ ২০০৪ সালে জোট সরকারই তৈরি করে। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে। রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালে তার মায়ের কীর্তি পুনরাবৃত্তি করতে পারবেন না বলেই মনে করেন মোদি।
এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে ২০১৪ সালের মতো একটি বড় জয় পাবে বিজেপি। এসপি এবং বিএসপি-র মধ্যে ২০১৯-এর মতো এবার কোনও জোট নেই। যোগি আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দৃঢ় অবস্থানে বসে রয়েছেন। এছাড়া অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন ও জ্ঞানবাপী বিষয়টি বিজেপিকে ভোট পেতে সাহায্য করবে। অখিলেশ যাদবের অবস্থা ও ভাবমূর্তি অনেকটা রাহুল গান্ধীর মতোই। বিহারে নীতিশ কুমার সমস্ত বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন।’