বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হল। এবার ঘটনা সে রাজ্যের শাহজাহানপুরের। ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে একটি শিশুকন্যাকে কাঁধে নিয়ে যেতে দেখা যায়। হঠাৎ এক ব্যক্তি তাকে গুলি করে এবং বাইকে অপেক্ষারত তার সহযোগীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার ঘটার পরই ঘটনাস্থলে হৈচৈ পড়ে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির নাম শোয়েব। কাঁধে বসে মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। তার চিকিৎসা চলছে। হামলাকারীর নাম তারিক। সে পলাতক। তার বাইক আরোহী সাগরেদ গুফরান ও নাদিমকে আটক করেছে পুলিস। এ ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার।
মামলাটি কোতয়ালী থানা এলাকার। মামলার অভিযোগকারী সেলিম আহমেদ জানান, রোববার তিনি তার ভাগ্নে শোয়েবের সঙ্গে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান শেষ করে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় সবাই বাসায় ফিরছিলেন। শোয়েবের কাঁধে বসে ছিল তার দেড় বছরের মেয়ে। এরপর হঠাৎই একটি কালো বাইকে করে তারিক, নাদিম ও গুফরান আসে। তারিক বাইক থেকে নামে, গুফরান আর নাদিম একটু দূরে দাঁড়িয়েছিল। দুজন মিলে শোয়েবকে গুলি করার জন্য তারিককে প্ররোচিত করতে থাকে।
UP में अपराधी इतने बेखौफ हैं कि राह चलते इंसान को गोली मार दे रहे हैं। इसी वीडियो में 1:05 सेकेंड पर देखिए कि कैसे अपने फूल जैसे बच्चे को कंधे पर बैठा कर एक पिता जा रहा है और एक बदमाश ने उसे गोली मार दी। उसने यह भी नहीं देखा कि उसके कंधे पर एक बच्चा बैठा है। गोली लगते ही पिता… pic.twitter.com/ZHOFIi8HGf
— Punjab Kesari-UP/UK (@UPkesari) August 15, 2023
অভিযোগকারীর অভিযোগ, গুফরান ও নাদিম চ্যালেঞ্জ করায় তারিক পিস্তল নিয়ে হাঁটতে থাকা শোয়েবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলির আঘাতে শিশুসহ শোয়েব মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আশেপাশে লোকজন জড়ো হতে দেখে তিন অভিযুক্ত বাইকে ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়। শোয়েবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য প্রথমে বেরেলি ও পরে দিল্লিতে পাঠানো হয়।
পুলিস নাদিম, তারিক এবং গুফরানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গত সোমবার পুলিস জানায়, গুফরান ও নাদিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাত পৌনে ৮টার দিকে শাহজাহানপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কার্যালয়ে অভিযুক্তের খুঁজে পায় পুলিস। হামলায় ব্যবহৃত পিস্তল, ২টি জীবন্ত কার্তুজ, ঘটনায় ব্যবহৃত নম্বরবিহীন বাইকটিও উদ্ধার করেছে পুলিস।