বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দিন যত এগোচ্ছে ততই লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে ট্রেনের (Train) যাত্রী সংখ্যা। এদিকে, আমাদের দেশে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনে চেপেই পৌঁছে যান নিজেদের গন্তব্যে। শুধু তাই নয়, কাছের কোনো সফর হোক কিংবা দূরের কোনো গন্তব্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেলপথকে বেছে নেন অধিকাংশ জন। ট্রেনে চেপে যাতায়াতের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য গণপরিবহণগুলির তুলনায় খরচের পরিমাণও হয় অনেকটাই কম। আর তাই যাত্রীরাও রেলপথের ওপরেই ভরসা রাখেন।
এদিকে সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে পরিষেবা দিতে একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় রেলের তরফে। পাশাপাশি, সফরের সময়ে তাঁদের স্বাচ্ছন্দের দিকটিও মাথায় রাখা হয়। এমনিতেই, বর্তমানে দেশজুড়ে সবাইকে আকৃষ্ট করেছে সেমি-হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
অল্প সময়ের মধ্যেই যাত্রীদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই ট্রেনটি। তবে, যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে ইতিমধ্যেই পা বাড়িয়েছে রেল। শুধু তাই নয়, এবার রীতিমতো বন্দে ভারতকেও টেক্কা দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। মূলত, কম খরচে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের জন্য এবার পুশ-পুল ট্রেন (Push-Pull Train) সামনে আনতে চলেছে রেল।
তবে, এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে যে এই ট্রেনের নাম “পুশ-পুল” দেওয়া হয়েছে কেন? আসলে, রেলের তরফে আপাতত এই ট্রেনকে পুশ-পুল ট্রেন নামে আখ্যা দেওয়া হলেও আগামী দিনে এই নাম পরিবর্তন হতেও পারে। উল্লেখ্য যে, রেলের পুশ-পুল মোড হল প্রধানত ট্রেনের দুই প্রান্তে ইঞ্জিন থাকা। সেক্ষেত্রে ট্রেনে সফরের সময় কম লাগার পাশাপাশি যাত্রীদের ঝাঁকুনিও অনেক কম অনুভূত হয়। অর্থাৎ, সামগ্রিকভাবে আরামদায়ক সফরের অভিজ্ঞতা মিলবে।
আরও পড়ুন: এই রুটেই সফর শুরু করেছিল বাংলার প্রথম ট্রেন! কত সময় লেগেছিল গন্তব্যে পৌঁছতে? জানলে অবাক হবেন
এদিকে, জানা গিয়েছে নতুন এই ট্রেনে থাকবে ইলেকট্রিক লোকোমোটিভ এবং এলএইচবি কোচ। তবে, এই ট্রেনের উদ্বোধনের বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে রেলের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত দিন ঘোষণা করা না হলেও অক্টোবর মাসের মধ্যেই এই ট্রেনের সূচনা হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পুশ-পুল ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার। পাশাপাশি, এই ট্রেনে থাকবে স্লিপার ক্লাস এবং সেকেন্ড সিটিংয়ের ব্যবস্থাও।
আরও পড়ুন: Indian Railways: এটিই হল ভারতের দীর্ঘতম নামের রেল স্টেশন, এর উচ্চারণ করতে গেলে মাথা ঘুরে পড়ে যাবেন!
এছাড়াও, যাত্রীদের সুবিধার জন্য থাকছে উন্নতমানের লাইট, পর্যাপ্ত সংখ্যক চার্জিংয়ের ব্যবস্থা এবং উন্নতমানের শৌচালয়। এদিকে, রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ট্রেনে আটটি সেকেন্ড সিটিং কোচ থাকবে। যার প্রতিটি কামরা হবে অসংরক্ষিত এবং ওই কামরাগুলিতে ১০০ জন করে যাত্রী সফর করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এই ট্রেন মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা মাথায় রেখে চালু করা হচ্ছে। যার ফলে ট্রেনের ভাড়া অনেক কম থাকবে। এমনকি, সংরক্ষিত কামরাতেও ভাড়ার পরিমাণ কম হবে বলে জানা গিয়েছে।