বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একদম প্রথমসারিতে রয়েছে IIT (Indian Institute Of Technology)। আপাতত দেশজুড়ে মোট ২৩ টি IIT রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল আইআইটি খড়্গপুর (IIT Kharagpur)। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, দেশে প্রথম খড়্গপুরেই IIT স্থাপিত হয়। আর সেই কারণেই সুপ্রাচীন এই IIT-কে ঘিরে আলাদা আগ্রহও পরিলক্ষিত হয় সব মহলেই। এমতাবস্থায়, এই IIT-র ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গত শুক্রবার।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খড়্গপুর IIT-র ডাইরেক্টর ড. বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারি সহ উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিব দুর্গাশঙ্কর মিশ্র, টাটা মেডিক্যাল সেন্টারের ডিরেক্টর ডক্টর পি. অরুণ এবং IIT-র প্রাক্তন ও বর্তমান অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও পড়ুয়ারা। পাশাপাশি প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন মহামোহপাধ্যায় ভদ্রেশদাস স্বামী।
তিনি তাঁর বক্তব্যের মাধ্যমে জানান, “ভারত হল আধ্যাত্মিকতার দেশ। পাশাপাশি, এই প্রতিষ্ঠানের মূল মন্ত্র হল-‘যোগ কর্মশু কৌশলম’। ভারত শিক্ষার দেশ; শিল্প-সঙ্গীত-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি এবং দর্শন নিয়ে গবেষণার দেশ; নতুন উদ্ভাবনের দেশ; আধ্যাত্মিকতার দেশ; সাহিত্যের উত্তরাধিকার এবং শাস্ত্রের দেশ; আদর্শ আর ঐতিহ্যের দেশ। সর্বোপরি, আমাদের দেশ বৈচিত্রের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে। তাই, আমি গর্বের সাথে বলতে পারি ভারত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং গীতার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে।”
আরও পড়ুন: বিনিয়োগের মামলায় ভারত সেরা উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় গুজরাট! কত নম্বরে বাংলা? চমকে দেবে তালিকা
এদিকে, দেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অধ্যায়ে গড়ে ওঠা তৎকালীন প্রথম প্রযুক্তিগত বিদ্যার পীঠস্থান IIT খড়্গপুরের প্রসঙ্গে প্ৰত্যয়ী ভাষণ দেন প্রতিষ্ঠানের ডিরেক্টর ড. বীরেন্দ্র কুমার তেওয়ারিও। তিনি বলেন, “১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৪২ জন শিক্ষক এবং ২২৪ জন ছাত্র নিয়ে পথচলা শুরু করেছিল আইআইটি খড়্গপুর। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৭ হাজার পড়ুয়ার পাশাপাশি প্রাক্তনীর সংখ্যা রয়েছে ৮০ হাজারেরও বেশি। আমাদের লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ১০টি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জায়গা করে নেওয়া।”
আরও পড়ুন: ট্রেনের মধ্যেই মারপিটে ব্যস্ত TTE এবং GRP-র কর্মীরা, ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও, বচসার কারণ অবাক করবে
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ১৯৫১ সালের ১৮ অগাস্ট তৎকালীন “হিজলি বন্দীনিবাস” প্রাঙ্গণে গড়ে উঠেছিল IIT খড়্গপুর। তবে, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে শুধু ভারতেই নয় বরং বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান চর্চা, প্রযুক্তিবিদ্যা ও গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান। শুধু তাই নয়, মহাকাশ গবেষণা থেকে শুরু করে আবহাওয়া, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গবেষণাতেও সারা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন খড়্গপুর IIT-র বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও, দেশ ও বিদেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প সংগঠনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে আরও দূরদর্শী ভাবনা রয়েছে এই প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence (AI)-এর একটি ডিপ্লোমা কোর্সের জন্যও আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের তরফে।