বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। বঙ্গ জুড়ে চৰ্চা, সংবাদের শিরোনামে সেই নিয়োগে ‘দুর্নীতি’! ওদিকে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভায় নিয়োগেও দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) খোঁজ পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
এরপরই পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আলাদা মামলা দায়ের করে একজোটে তদন্তে নামে সিবিআই, ইডি। ওদিকে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। সেখানে সুরাহা না পেলে পরে সুপ্রিম কোর্টে ছোটে রাজ্য সরকার। তবে সেখানেও অস্বস্তি।
সোমবার রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ, পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বাধা নয়। একজোটে এই মামলায় তদন্ত চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই।
আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা! এবার ‘এই’ মামলায় জাস্টিস গাঙ্গুলির নির্দেশ খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট, বেজায় খুশি রাজ্য
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে নেমে যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুর-দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে তাতে সুপ্রিম কোর্ট সন্তুষ্ট। তাই এই তদন্তে বাধা নয়। পূর্বের ন্যায় তদন্ত চালানোর নির্দেশ ইডি, সিবিআই কে। আর তাই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিরাট অ্যাকশন ED-র! তল্লাশিতে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ২৫ কোটির সোনা, নজরে এই প্রভাবশালী নেতা
প্রসঙ্গত, রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। পুর-দুর্নীতিতে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সূত্র খুঁজে পেয়েছেন বলে আদালতে জানায় গোয়েন্দা সংস্থা। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এই মামলার তদন্তভার সিবিআই-র হাতে তুলে দেন। এরপরই তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দেখা যায় রাজ্যের প্রায় সমস্ত পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে অয়ন শীলের (নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত) সংস্থা এবিএস ইনফোজেনের মাধ্যমে। এরপরই এই রহস্যের কিনারা করতে ময়দানে নামে সিবিআই।