বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুজোর ঢাকে কাঠি। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আর মাত্র দু’মাস বাকি। ইতিমধ্যে পুজো কমিটিগুলি জোর কদমে প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পুজো কমিটির কর্ণধারদের সঙ্গে নেতাজি ইন্দোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর সেখানে থেকেই পুজো বিষয়ক একাধিক ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত বছরই দূর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ দশ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। গতবছর পুজো অনুদান ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৬০ হাজার টাকা। সেই নিয়েই জল্পনা ছিল যে এবারও টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে।
আর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার দ্বিতীয় বছরে জল্পনাকে সত্যি করে ফের ১০,০০০ টাকা সাহায্য বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটির জন্য এবার ৭০,০০০ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।
আর যেই সকল বিষয় গুলি জেনে রাখা দরকার :
গতকাল বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন নিগম উভয়েই যৌথ সিদ্ধান্তে এই বছর পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের বিলের এক চতুর্থাংশ দিতে হবে। জানিয়ে রাখি আগে কমিটিগুলিকে দুই তৃতীয়াংশ বিল দিতে হত।
বিদ্যুৎ বিলে ছাড়ের পাশাপাশি দমকলের অনুমতি থেকে দমকল পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুজো কমিটিগুলোকে কোনও টাকা দিতে হবে না। বিজ্ঞাপনের কোনও ট্যাক্সও দিতে হবে না।
আরও পড়ুন: বুকে ‘ব্যথা’ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামতেই ‘কালীঘাটের কাকু’র ‘কু-কথা’র ফুলঝুড়ি! যা হল…
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবার দুর্গাপুজোয় কার্নিভাল হবে ২৭ অক্টোবর। সেই কার্নিভালে থাকবে প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দশমীর দিন ২৪ অক্টোবর থেকে বিসর্জন হবে। তা চলবে ২৫ ও ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত। যারা যারা কার্নিভালে অংশ নেবেন না তারা ওই দিন গুলিতে বিসর্জন করবেন। জানিয়ে রাখি, ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পুজো।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক TET নিয়ে ‘বিরাট’ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট, মুখে হাসি উত্তীর্ণদের
অন্যদিকে, বিসর্জনের জায়গায় পর্যাপ্ত আলো,ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা সহ সকল জেলার ক্ষেত্রে একই নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন মমতা। বিসর্জনস্থলে অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, নার্সের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জরুরিকালীন পরিস্থিতির জন্য স্থানীয় হাসপাতাল, বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গে আগের থেকেই যোগাযোগ রাখতে হবে।
কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি মণ্ডপে বিদ্যুত সংযোগ, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, এসব নিয়ম মেনে করতে হবে। মণ্ডপে ভিড় এড়াতে পৃথক প্রবেশ পথ ও বাহির পথ করার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।
পুজো মণ্ডপ গুলিতে জনকল্যাণমূলক হোর্ডিং লাগাতে হবে। ট্যুরিজম দফতর থেকে হোর্ডিং দেওয়া হবে। হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা প্রচার করতে হবে। এলাকায় যত বৃদ্ধাশ্রম আছে, তাদের পুজোর কয়েকদিন একটু ভোগ খাওয়ানোর দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।