বাংলা হান্ট ডেস্ক : ফের কি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike)? বালাকোটে (Balakot) দেখা গিয়েছিল একের পর এক সেনা ট্রাক। সন্দেহ করা হয়েছিল পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ চাউরও হয়। কিন্তু চাউর হওয়া খবর অস্বীকার করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Defence Ministry)। বালাকোটে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে সেনার এই তৎপরতা বলে মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘিরে ধুন্ধুমার : বিতর্ক তৈরি হয় একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ঘিরে। ভারত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে যে শনিবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ২.৫ কিলোমিটার পাকিস্তান এলাকায় প্রবেশ করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। সীমান্তে ঘাঁটি গেড়ে বসা পাক জঙ্গি সংগঠগুলির চারটি লঞ্চিং প্যাড ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জেরে সাত থেকে আটজন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল। মিশনের পর বিমানবাহিনীর দলটি নিরাপদে ফিরে এসেছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
কী দাবি সেনার? সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের কথা উড়িয়ে দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগ নিয়ে সোমবার বালাকোটের হামিরপুরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবার দুই জঙ্গি অনুপ্রেবেশের চেষ্টা করেছিল। এই সময় জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় সেনা। দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে একজন জঙ্গি নিকেশ হয়। পরে গুরুতর জখম হয় অন্য একজন জঙ্গিও। সেই অবস্থায় সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল সে। কিন্তু পরে তারও মৃত্যু হয়। মৃত জঙ্গিদের কাছ থেকে দু’টি ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড গুলি, দু’টি গ্রেনেড একটি একে ৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে বাহিনী।
আর কী জানাচ্ছে মন্ত্রক? মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে যে আরও বেশ কয়েকজন জঙ্গি সীমান্ত পার করে বালাকোট এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তাবাহিনী। এরপর তাদের তল্লাশিতে শুরু হয় অভিযান। নাশকতা রুখতে নেওয়া হয়েছিল সম্ভাব্য সমস্ত ধরনের প্রস্তুতি। প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত-পাক সীমান্ত এলাকা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আরও পড়ুন : র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ মমতার! আর নেই নিস্তার, এবার জালে পড়তে চলেছে সমস্ত রাঘব বোয়াল
চলছে চূড়ান্ত নজরদারি : শুধু জম্মু ও কাশ্মীর নয়, সেই সঙ্গে পঞ্জাব সীমান্ত এলাকা দিয়েও অনুপ্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। কয়েকদিন আগে পঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকায় অনু্প্রবেশকারী এক পাক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছিল। এবার বালাকোট এলাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। অনুপ্রবেশ ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় বাহিনীকে করে দেওয়া হয়েছে সতর্ক। সেই সঙ্গে নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি অনুপ্রবেশ রুখতে সবধরনের সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সেনার তরফে দেওয়া হয়েছে নির্দেশও।