বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর ইস্যু নিয়ে উত্তাল রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনা ঘিরে ক্রমশ্য ঘনাচ্ছে রহস্য। এই ঘটনায় সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে (Sourav Chowdhury)। এরপর আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
এদিকে এরই মধ্যে অসংবেদনশীল মন্তব্য করে চরম নিন্দার মুখে যাদবপুর কাণ্ডে ধৃত ছাত্র দীপশেখরের বাবা মধুসূদন দত্ত। ‘‘হস্টেলে থাকতে গেলে র্যাগিংয়ের শিকার হতেই হবে। প্রাণ যদি কারও যায়, সেটা তার ব্যাপার।’’ ঠিক এমন মন্তব্যই শোনা গেল মধুসূদনবাবুর গলায়।
আর কী কী বললেন তিনি? মঙ্গলবার আলিপুর আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে দীপশেখরের বাবা মধুসূদন দত্ত (Dipsekhar Dutta’s fathers) বলেন, ‘‘যারা হস্টেলে থাকে, তারা কি জানে না যে, র্যাগিং ছাড়া থাকা যায় না? হস্টেলে থাকতে গেলে র্যাগিংয়ের শিকার হতেই হবে। কেউ বলুক, না বলুক, তা আমরা জানি।”
আরও পড়ুন: দুর্গাপুজো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ১০ জরুরি ঘোষণা! না জানা থাকলে বিপদে পড়তে পারেন আপনিও
তার কথায়, “এটা বন্ধ হওয়া উচিত, কিন্তু তা বন্ধ করবে কে?’’ শুধুমাত্র র্যাগিংয়ের জন্য একটি তরতাজা প্রাণ চলে গেল! এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে দীপশেখরের বাবা মধুসূদন বলেন, ‘‘প্রাণ যদি কারও যায়, সেটা তার ব্যাপার।’’ তার কথায়, ‘‘পুলিশ পুলিশের কাজ করছে, আমরা আমাদের কাজ করছি।’’ মধুসূদনবাবুর এহেন মন্তব্যের পরই নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
আরও পড়ুন: বুকে ‘ব্যথা’ নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামতেই ‘কালীঘাটের কাকু’র ‘কু-কথা’র ফুলঝুড়ি! যা হল…
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের পড়ুয়া ‘খুন’-এর অভিযোগে ধৃত প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী ও দুই বর্তমান পড়ুয়া ছাত্র মনোতোষ ঘোষ ও দীপশেখর দত্তকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। ছেলেকে দেখতে এদিন আদালত চত্বরে পৌঁছায় বাঁকুড়ার বাসিন্দা দীপশেখরের মা সংগীতা ও বাবা মধুসূদন দত্ত। ওদিকে তদন্তে নেমে দীপশেখরের কাছ থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছে, যেখানে দীপশেখর নিজেই র্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল বলেও লেখা রয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করাতেই মেজাজ হারিয়ে অসংবেদনশীল মন্তব্য করেন দীপশেখরের বাবা।