বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের বাংলা অনার্সের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর রহস্য মৃত্যুর (Jadavpur University Student Death) ঘটনা ঘিরে ক্রমশ্য ঘনাচ্ছে রহস্য। এই ঘটনায় সর্বপ্রথম গ্রেফতার করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীকে (Sourav Chowdhury)। এরপর আরও ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। এরই মধ্যে সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এবার জেইউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিলিটেড ছবি থেকে হাড়হিম করা তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মেইন হস্টেলের এ-টু ব্লকে হত গাঁজা চাষ। বারান্দায় ফুলের টবে চলত এই চাষ। জানা গিয়েছে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার পরই সেই সমস্ত কিছু সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তবে লালবাজার সূত্রে খবর তাদের হাতে এই চাষের প্রমাণ এসেছে। কয়েক ছাত্রের ফোন ঘেঁটে ডিলিটেড ছবি উদ্ধার করে এই গাঁজা চাষের বিষয়টি জানতে পেরেছে পুলিশ। আবার খোঁজ মিলেছে এক হোয়াটস্যাপ গ্রূপেরও। যা নিয়েও ক্রমেই ঘনাচ্ছে রহস্য।
আরও পড়ুন: ED-র দাবি থেকেই সূত্রপাত! ‘টুইট’ যুদ্ধে শুভেন্দু-অভিষেক, হা করে দেখেই গেল সকলে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রুপটির নাম ছিল JuMH৷ যার অর্থ, যাদবপুর ইউনিভার্সিটি মেন হোস্টেল। তবে বর্তমানে সেই গ্রূপের অস্তিত্ব নেই। কবে কেন সেই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল? কবেই বা ডিলিট হল, কেন হল? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: ‘এই’ বিষয়গুলিতে আর করা যাবে না অফলাইন আবেদন! বিরাট পদক্ষেপ উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের
তবে তদন্তকারীদের অনুমান, অপরাধীর অপরাধ আড়াল করতেই এই JuMH হোয়াটস্যাপ গ্রুপকে ‘ব্যবহার’ করেছিল অভিযুক্তদের একাংশ। ওই গ্রুপে কমপক্ষে ২০ জন ছাত্র ছিল। পুলিশের ধারণা খুব সম্ভবত ঘটনা ধামা চাপা দিতেই ওই গ্রূপে চলেছিল কথোপকথন।
অন্যদিকে স্বপ্নদীপ কুণ্ডু হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যাওয়ার পরে যাদবপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ধৃত অঙ্ক বিভাগের প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে সম্পর্কে নির্দিষ্ট নিজেদের মধ্যে থাকা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে কিছু কথা বলার জন্য ছাত্রদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। এইসব সূত্রের ওপর ভিত্তি করেই চলছে তদন্ত।