বাংলাহান্ট ডেস্ক : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে তোলপাড় গোটা দেশ। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের একবার হোস্টেলে মিলল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। এসএসকেএম হাসপাতালের (SSKM Hospital) হোস্টলের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হল নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ (Deadbody)। কী কারণে ঘটল এই মৃত্যু?
পুলিশের কাছে এখনো পরিষ্কার নয় বিষয়টি।যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে উত্তপ্ত রাজ্য-রাজনীতি। ছাত্রের পরিবারের তরফ থেকে তোলা হয়েছে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আটক করেছে কয়েকজনকে। এই আবহেই নার্সিং ছাত্রীর মৃত্যু নতুন প্রশ্ন তুলল।
আরোও পড়ুন : চন্দ্রযান ৩ অভিযানে বড় অবদান! জানুন, বাংলার এই ৯ ছেলের উত্থানের ইতিহাস
কেন হোস্টেলের শৌচালয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ছাত্রীর সেই বিষয় কেউ মুখ খুলতে চাননি। এটি আত্মহত্যা নাকি খুন? সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নার্সিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন মৃত পড়ুয়া। রায়গঞ্জের বাসিন্দা এই ছাত্রী কলকাতার হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালাচ্ছিলেন।
আরোও পড়ুন : ‘তোকে দেখছি, বাবা!’ চন্দ্রযান ৩’এ বড় অবদান কৌশিকের, ছেলের কৃতিত্বে মায়ের চোখে জল
লিটন হোস্টেলে থেকে তিনি নার্সিং পড়তেন। ছাত্রীর সহ পাঠিরা দাবি করেছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই খোঁজ মিলছিল না ওই পড়ুয়ার। এরপর তার দেহ উদ্ধার হয় হোস্টেলের শৌচালয় থেকে। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্ত পাঠিয়েছে। তবে অনুমান করা হচ্ছে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় হোস্টেলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দেহ উদ্ধারের সময় যারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন তাদের বয়ান অনুযায়ী, তারা ছাত্রীকে আচ্ছন্ন অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন। এরপর দ্রুত তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।