বাংলা হান্ট ডেস্ক : ভারতের চন্দ্রযানের সাফল্যকে শুভেচ্ছা জানিয়েই বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের তুলোধুনো করলেন তসলিমা নাসরিন। এইদিন তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন যে, তার নিজের দেশ আগামী ১০০ বছরেও চাঁদে পা রাখতে পারবে না। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন রীতিমত ধর্ম নিয়ে মেতে আছে। তাদের বিজ্ঞান চর্চা করার সময় কোথায়?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ভারতীয় সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। ইতিমধ্যেই নিজের কাজও শুরু করে দিয়েছে প্রজ্ঞান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখানো হচ্ছে, চাঁদের মাটিতে অশোক চক্র এবং ইসরোর ছাপ রেখেছে প্রজ্ঞান। তারপর থেকেই দেশ-বিদেশের বহু জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ইসরো তথা ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
আর এইদিন সেই তালিকায় যোগ দিলেন নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। এইদিন লেখিকা বলেন, ‘ভারতের এককালের অংশ বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের কি আগামী ১০০ বছরে চাঁদে পা রাখা সম্ভব? না। তারা ধর্মে ডুবে আছে। বিজ্ঞানকে দূরে সরিয়ে। কোরানই নাকি তাদের বিজ্ঞান। যতদিন কোরান তাদের বিজ্ঞান শেখাবে, ততদিন তাদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত। চাঁদ বা মঙ্গলগ্রহ পর্যন্ত নয়।’
আরও পড়ুন : পাত্তা পাবে না করিনা, ক্যাটরিনারা! এই বলি অভিনেত্রীকে নিয়ে বলিউডে তৈরি হবে ১৪০০ কোটির ছবি
আর তারপর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বাংলাদেশের বহু নাগরিক লেখিকার এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে শুরু হয়েছে চরম সমালোচনা। পড়শিদেশের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম লেখেন, ‘ভারতও ধর্মান্ধ দেশ। ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল সে দেশের ক্ষমতায় কিন্তু, ওরা দেশপ্রেমিক। আমাদের দেশের মূল সমস্যাটা ধর্মে নয়, আমাদের দেশপ্রেমের অভাব আছে। ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীস্বার্থ আমাদের কাছে বড়। দুর্নীতি আমাদের দেশে পাপ নয়।’
আরও পড়ুন : দীপার দিন শেষ! ফুলকি না জগদ্ধাত্রী, কে হল বেঙ্গল টপার? নতুন TRP তালিকায় বিরাট চমক
তার এই বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন তসলিমা নাসরিন। লেখিকা লিখেছেন, ‘আমি মনে করি না বাংলাদেশের মানুষ দেশপ্রেমিক নয়। তারা দেশ থেকে বিদেশে পাড়ি জমালেও দেশ নিয়েই পড়ে থাকে। বাংলাদেশের অধিকাংশ লোকই বিজ্ঞানের সব সুবিধে নিচ্ছে, কিন্তু বিজ্ঞানমনস্ক নয়। রাষ্ট্র এবং সমাজের প্রভাবশালীরা জনগণকে অন্ধকারেই রাখতে চায়। ভারতের বেশির ভাগ লোক ধার্মিক, ইসরোর বিজ্ঞানীরাও ধর্ম বিশ্বাসী, তারপরও তাদের ধর্ম তাদের বিজ্ঞান গবেষণায় বাধা সৃষ্টি করে না। ভারতের কোনও রাষ্ট্রধর্ম নেই, এক মুসলিম ছাড়া অন্য ধর্ম গোষ্ঠীর পারিবারিক আইন ধর্ম ভিত্তিক নয়। ভারতের যত্র তত্র বিজ্ঞান ক্লাব বা বিজ্ঞান গবেষণাগার খুলতে কোনও সমস্যা হয় না। বাংলাদেশে সমস্যা হয়। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিকেরা পাড়ায় পাড়ায় বিজ্ঞান ক্লাবের বদলে মসজিদ মাদ্রাসা গড়তে আগ্রহী।’