‘জানেন একজন বন্দিকে রাখলে সরকারের কত খরচ হয়?’, ভরা এজলাসে CBI-কে যা বললেন বিচারক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুরু সেই ২২ এ। একটা গোটা বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। এই শিক্ষক কেলেঙ্কারির অভিযোগেই তৃণমূলের বহু নেতা-মন্ত্রীর পাশাপাশি জেলবন্দি রয়েছেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) জীবনকৃষ্ণ সাহা (Jiban Krishna Saha)।

সেই এপ্রিল মাস থেকে তিনি জেলে। এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বারবার আবেদন করলেও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতের সাফ বক্তব্য, তার জামিন (Bail) এখনই হাতে আসার কোনও সম্ভাবনা নেই। এদিকে শুক্রবার আলিপুরে বিশেষ সিবিআই আদালতে (Alipore Court) পেশ করা হয় এই তৃণমূল বিধায়ককে।

এদিন এজলাসে বিচারক সিবিআই আইনজীবীর থেকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট দেখতে চান ঠিকই তবে তা দেখাতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সিবিআই এর আইনজীবী। তিনি বিচারককে জানান, তদন্তে কী বাকি আছে, আগে তা দেখতে হবে। আইনজীবীর এহেন মন্তব্যে বেজায় বিরক্ত হন আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।

আরও পড়ুন: অনুরাগের ছোঁয়া থেকে নিমফুলের মধু! মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের সিরিয়াল কোনগুলি জানেন?

তদন্তকারী সংস্থার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিচারক বলেন, ‘আপনারাও অন্য কিছু বলুন। রোজ একই গজল গাইছেন।’ বিচারকের মন্তব্য, ‘এক মাস আগে স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়েছেন। তাহলে কি একমাসে তদন্ত হয়নি? আগে রিপোর্ট দিন, পরে জামিনের শুনানি হবে।’

শুধু তাই নয়। পাশাপাশি এক এক জন বন্দিকে সংশোধনাগারে রাখার জন্য সরকারের কী পরিমাণ খরচ হয় সেকথা মনে করিয়ে সিবিআই-এর আইনজীবীকে বিচারক বললেন, ‘আপনারা জানেন না একজন বন্দিকে রাখলে সরকারের কত খরচ হয়?’

court

আরও পড়ুন: ‘রোজই দেখি একই গজল গাইছেন’, ভরা এজলাসে একি বললেন বিচারক! তুঙ্গে শোরগোল

অন্যদিকে জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী পরে বলেন, ‘আমরা বিচারপ্রার্থী। আমরা বিচার পাচ্ছি না। যারা চাকরি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলছেন, তারাও বিচার পাচ্ছেন না। এই কথাটি এদিন আমরা তুলে ধরি বিচারকের কাছে। তাতে বিচারক অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হলেন। বিচারক আগের দিনও বলেছিলেন, এদিনও বললেন… রিপোর্ট দিতে হবে। আগে যাই স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিয়ে থাকুন, আবার ফ্রেশ স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিতে হবে।’ এককথায় এদিন সিবিআই এর তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে যে বিচারক বেজায় অসন্তুষ্ট সেটাই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর