বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের (Muzaffarnagar, Uttar Pradesh) একটি বেসরকারি স্কুলের ঘটনা শোরগোল ফেলেছে গোটা দেশে। ওই স্কুলে ক্লাসের শিক্ষিকার নির্দেশে ক্লাসের একের এক সহপাঠী এসে চড় মারছে এক পড়ুয়াকে। আর শিক্ষিকা বলে চলেছেন, ‘আরও জোরে মারো।’
বহু কান্নাকাটি করা সত্ত্বেও মুসলিম ওই পড়ুয়াকে রেহাই দেননি শিক্ষিকা। আর এই ঘটনার ভিডিও সামনে আসার পরেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশও। ইতিমমধ্যেই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ওদিকে ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীদের অভিযোগ স্কুলের পড়ুয়াদের মোটেও নোংরা জাতপাতের রাজনীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। এবার এই ইস্যুতেই ময়দানে নামলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বিজেপিকে অবিলম্বে দেশ থেকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারিও শোনা গেল তার গলায়।
আরও পড়ুন: নয়া নজির! দেশে প্রথম এই প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিলের পাশাপাশি চালু হল ‘ব্রেকফাস্ট’
ঠিক কী বললেন ফিরহাদ? ফিরহাদ বলেন, ‘নোংরা’, ‘বর্বর’, ‘অসভ্য’ দল। তার কথায়, “গুলি মারো, কাট দো, মার দো- এই তো হল বিজেপির ভাষা! উত্তরপ্রদেশে একটি স্কুলে টিচার ক্লাসেরই একটা বাচ্চাকে দেখিয়ে বাকিদের বলছে- মুসলমান কা বাচ্চা হ্যায়! মারো! এই বাচ্চাটা কি শিখছে? ও বড় হয়ে কী করবে?”
আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় মমতাকে ফের হারাব’, কাঁথি তমলুকে বিরাট চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, থরহরিকম্প তৃণমূল শিবিরে
পুরমন্ত্রী আরও বলেন, “আজকে নরেন্দ্র মোদী জিতছেন। কিন্তু জাতপাতের এই কালচার, এটা দেশের পক্ষে মহামারী হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করে দেশটার সর্বনাশ করে দিচ্ছে বিজেপি। এরা যত তাড়াতাড়ি ক্ষমতা থেকে চলে যায়, ততই ভাল।”