বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুজোর বাকি আর মাত্র ৫০ দিন। শুরু হয়ে গেছে শেষ মুহূর্তের কাউন্টডাউন। এই পুজোয় আপনি কি বাইরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? ভাবছেন পুজোর কটাদিন ভিড় থেকে দূরে একান্ত শান্তিতে ছুটি কাটাবেন? কিন্তু ঘোরার জায়গা বলেলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে দিঘা-পুরী বা দার্জিলিংয়ের ছবি।
পুজোর ছুটিতে এই জায়গাগুলিতে থাকবে থিকথিকে ভিড়। তাহলে উপায়? আজ আমরা উত্তরবঙ্গের এমন একটি পাহাড়ি অঞ্চল সম্পর্কে আলোচনা করব যেখানে গেলে আপনার মনে হতে পারে আপনি চলে এসেছেন সুইজারল্যান্ডে। অনেকেই এই জায়গাটির নাম জানেন না। আজ আমরা আলোচনা করব তোরয়ক সম্পর্কে।
আরোও পড়ুন : জাল ফেলতেই কেল্লাফতে! দিঘায় উঠল অতিকায় তেলিয়া ভোলা, মাছের দর শুনলে আঁতকে উঠবেন
সকাল বেলা আপনার ঘুম ভাঙবে নাম না জানা পাখির ডাকে, হাতে গরম চা বা কফি নিয়ে শুনতে পারবেন নদীর বয়ে যাওয়ার শব্দ। হোটেলের ব্যালকনিতে এসে ছুঁয়ে দেখতে পারবেন তুলোর মতো সাদা মেঘ। উত্তরবঙ্গের সিটং পর্যটকদের কাছে খুবই পরিচিত একটা নাম। তোরয়ক সিটং এর খুব কাছে অবস্থিত। এই গ্রামে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ বসবাস করেন।
আরোও পড়ুন : কখনও মাটিতে পা রাখতে পারে না এই পাখিটি! চেনেন নাকি আপনি ?
খুব অল্প জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে অপূর্ব সুন্দর এই গ্রামটি। যারা কোলাহল থেকে দূরে একটু শান্তিতে ছুটি কাটাতে চান তাদের কাছে এই জায়গাটি আদর্শ ডেস্টিনেশন। এই গ্রাম থেকেই দেখা যায় অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘা। এখানে থাকার জন্য রয়েছে বেশ কিছু হোমস্টে। এবার বলা যাক কীভাবে যাবেন এই অপূর্ব সুন্দর জায়গাটিতে? এই জায়গাটি প্রায় ৬৮ কিমি দূরে শিলিগুড়ি থেকে।
এনজিপি থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে আপনারা পৌঁছে যেতে পারেন এখানে। তবে শেয়ার গাড়িতে আসলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে দিলারাম। সেখান থেকে আসতে হবে তোরয়াক (Toryok)। রাত কাটানোর জন্য এই গ্রামে একাধিক হোমস্টে রয়েছে। এই হোমস্টেগুলির প্রতিদিনের ভাড়া ১০০০ থেকে ১৫০০ এর মধ্যে।