বাংলাহান্ট ডেস্ক : লেখার ক্ষেত্রে বানান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোথায় কীভাবে বানান প্রয়োগ করতে হয় তা আমরা ছোটবেলায় শিখেছি বাংলা ব্যাকরণ কিংবা ইংরেজি গ্রামার বইতে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় লেখার সময় বাংলা বানানে ভুলের প্রবণতা। এবার এরকম একটি দৃশ্য নজরের আসল উপাচার্যদের আন্দোলনে।
উপাচার্যদের আন্দোলনের প্ল্যাকার্ডে ধরা পরল অসংখ্য ভুল বাংলা বানান। এই দেখে অনেকের প্রশ্ন, শিক্ষকরা যদি ভুল বানান লেখেন, তাহলে পড়ুয়ারা শিখবেন কী? বেশ কিছুদিন ধরে শিক্ষাক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে টানাপড়েন চলছে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে। রাজ্যের পক্ষ থেকে বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে আইনের ঊর্ধ্বে নন রাজ্যপাল।
আরোও পড়ুন : জি২০ সম্মেলনে এসেই ভারতকে ‘বিশেষ’ সাপোর্ট! চিনকে কড়া বার্তা বাইডেনের, যা বললেন….
এবার রাজ্যের সেই কথাই নতুনভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসলেন তৃণমূলপন্থী উপাচার্যেরা। নিয়ম মেনে উপাচার্য নিয়োগ করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে, এই দাবিতে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১ঃ০০ টার সময় তৃণমূলপন্থী উপাচার্যরা হাজির হন রাজভবনের সামনে। কিন্তু এই শিক্ষাবিদদের সমাবেশ একটা অন্য কারণেও নজর কাড়ল আমজনতার।
সেই আন্দোলনে যে প্ল্যাকার্ডগুলি উপাচার্যরা নিয়ে এসেছিলেন তাতে রয়েছে অসংখ্য ভুলে ভরা বাংলা বানান। সেগুলি দেখে অনেকের প্রশ্ন, ‘য’ ফলা থাকে কি উপাচার্য বানানে! আবার অনেকে বলছেন, সবকিছুর উপরে বলতে বোঝানো হয় ‘ঊর্ধ্বে,’ কিন্তু উপাচার্যদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ‘ উদ্ধে ‘ শব্দটির অর্থ কী?
আরোও পড়ুন : দুর্নীতির মামলায় বড় অ্যাকশন সিআইডির! গ্রেফতার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু
আবার এই আন্দোলনে ব্যবহৃত প্ল্যাকার্ডে ‘উপাচার্য’ বানানে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত ‘য’ফলা। বাংলা বানানের বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে গত ৫০ বছরে। কিন্তু সেই পরিবর্তন হয়েছে নিয়ম ও যুক্তিসঙ্গত ভাবে। কিন্তু তাই বলে কখনও উচ্চারণের ক্ষেত্রে বা লেখার ক্ষেত্রে ‘ন’ পরিবর্তিত হয় ‘ণ’ হয়নি, কিংবা ‘র’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ড়’ হয়নি।
শিক্ষাবিদদের সমাবেশেই যদি এই ধরনের ভুল বানানের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, তাহলে আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা কতটা সঠিক বানান শিখবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষা মহলের একাংশ। তবে, শিক্ষা মহলের পাশাপাশি বিষয়টি নজরে এসেছে। ফলে, সব মিলিয়ে বাংলায় ঘটনাটিকে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।