এবার বই আকারে প্রকাশ পাচ্ছে বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান! দ্রুত প্রকাশিত হবে ‘দুই মলাটের সাফল্য’

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার রাজ্যের (West Bengal) সাফল্য বন্দি হতে চলেছে দুই মলাটের মধ্যে। এই কাজ প্রথমে অসম্ভব মনে হলেও, সমস্ত দপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকদের প্রচেষ্টায় সাফল্যের মুখ দেখেছে এই উদ্যোগ। জানা যাচ্ছে এই কাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হতে চলেছে রাজ্যের উন্নয়নের এই খতিয়ান পুস্তক।

একাধিকবার রাজ্যের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি গত কয়েক বছর ধরে আসছে না ১০০ দিনের কাজের টাকাও। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, কাজ বন্ধ নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায়। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা রাজ্যের উদ্যোগেই পৌঁছে যায় উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

আরোও পড়ুন : উপাচার্যদের আন্দোলনের প্ল্যাকার্ডে ভুলে ভরা বাংলা বানান! শিক্ষকরা নজর এড়ালো কী করে? উঠছে প্রশ্ন

এই সংক্রান্ত বিস্তারিত থাকবে রাজ্যের নতুন বইতে। এছাড়াও নতুন এই বইতে তুলে ধরা হবে কীভাবে নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে স্বনির্ভর প্রকল্পের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে রাজস্বর পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। আসলে রাজ্য সরকার এই বইতে তুলে ধরতে চাইছে ‘এক অসম লড়াইয়ের বিজয় গাঁথা।’ সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামকরণ করবেন এই বইয়ের।

জানা গেছে, বিভিন্ন দপ্তরের সচিবদের সাথে কয়েক মাস আগে বৈঠক হয় নবান্নের শীর্ষকর্তাদের। সেই বৈঠকেই উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরার জন্য বই প্রকাশের ভাবনা আসে। এরপর সেই ভাবনা মতো বিভাগীয় আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করে প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করে দেন দপ্তরের প্রধান সচিবরা।

আরোও পড়ুন : জি২০ সম্মেলনে এসেই ভারতকে ‘বিশেষ’ সাপোর্ট! চিনকে কড়া বার্তা বাইডেনের, যা বললেন….

এই বইতে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১১ থেকে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছ’মাসে রাজ্যের ৩৪১ ব্লক ও ৬৭টি সাব ডিভিশনে উন্নয়নের খতিয়ান। আর কী কী থাকছে এই বইতে? এই উদ্যোগের সাথে জড়িত প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সাথীর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে ২.৫ কোটি পরিবার। এই প্রকল্পের জন্য সরকারের মাসিক প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।

mamata 2

অন্যদিকে, কন্যাশ্রী-যুবশ্রীর মতো প্রকল্পগুলি সম্মানিত হয়েছে দেশ-বিদেশে। মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা বৃদ্ধি হয়েছে এই কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য। এইচআইভির মতো রোগ কার্যত নির্মূল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এছাড়াও ২০২৫ সালের মধ্যে টিবি মুক্ত বাংলার জন্য কাজ চলছে। সরকারের এই ধরনের বিভিন্ন সাফল্যকে তুলে ধরা হবে এই বইতে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর