বাংলা হান্ট ডেস্ক : ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে উঁকি দিলে হামেশাই ভেন্ডারস গিল্ডসে (Vendors Guild) -র সঙ্গে টেকনিশিয়ান ফেডারেশন (Technician Federation) -র ঝুট-ঝামেলার খবর শোনা যায়। ঝামেলা বাড়লেই মিটিং বৈঠক করে সেইসব তর্ক বিতর্ক মিটিয়েও নেন তারা। তবে এবার যে আন্দোলন শুরু হয়েছে তা এত সহজে মিটবে বলে মনে হয়না। শোনা যাচ্ছে, শুটিং প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
টলিপাড়ার আকাশে দেখা দেওয়া এই সিঁদুরে মেঘ কবে কাটবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। ভেন্ডার্স গিল্ডের (সিনে ভিডিয়ো অ্যান্ড স্টেজ সাপ্লায়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন) অভিযোগ, ইন্ডাস্ট্রির বেশ কিছু প্রযোজক এবং ফেডারেশন তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন। এই জিনিস বন্ধ না হলে তারা কর্মবিরতির পথ ধরবেন।
জানিয়ে দিই, ভেন্ডার গিল্ট মূলত, টলিপাড়ার শুটিংয়ের প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে থাকে। প্রপস থেকে শুরু করে লাইট ইত্যাদি সবকিছুই থাকে এই তালিকায়। এমতাবস্থায় তারা যদি কর্মবিরতির পথে হাঁটেন তবে শুটিং বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবেনা নির্মাতাদের কাছেও। অর্থাৎ এক কথায় ইন্ডাস্ট্রিতে তালা ঝুলে যাওয়ার জোগাড়।
আরও পড়ুন : অপরাজিতার নতুন সিরিয়াল এসেই কেড়ে নিল স্লট! রাতারাতি তল্পিতল্পা গোটালো স্টার জলসার এই সিরিয়াল
মিডিয়া রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, সংগঠনের তরফ থেকে যাবতীয় অভিযোগ ফোনে মেসেজের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বয়ান এই যে, “ফেডারেশন ও প্রডিউসাররা আমাদের সাথে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে অসহযোগিতা করে যাচ্ছে ফেডারেশনের কিছু সদস্য আমাদের বেশ কিছু সাপ্লায়ারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।” এছাড়াও বলা হয়েছে, “এরকম যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা বন্ধের রাস্তায় যাব।”
আরও পড়ুন : তাপস পাল-প্রসেনজিতের নায়িকা হয়েও দাম দেয়নি ইন্ডাস্ট্রি! কাজ না পেয়ে বিষ্ফোরক ইন্দ্রানী
এই বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করলে ভেন্ডার্স গিল্ডের সভাপতি আনন্দবাজারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “সাপ্লায়ারদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা অনৈতিক। ফেডারেশন যখন আমাদের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করবেনা বলছে তখন আমরাও বলছি ফেডারেশন থাকলে আমরা কাজ করবো না।” ফেডারেশনের সাথে আলোচনায় বসতে চাইলেও কোনও লাভ হয়নি বলে খবর।
আরও পড়ুন : হুবহু কপি পেস্ট! এই ছবি থেকে টোকা হয়েছে শাহরুখের ‘জওয়ান’, কাঠগড়ায় অ্যাটলি
অন্যদিকে ফেডারেশনের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে সেখান থেকে কোনও বিবৃতি আসেনি। প্রসঙ্গ এড়িয়ে ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেছেন, “সম্পূর্ণ ঘটনা এখনো জানি না। এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি।” এখন এই সমস্যার জল কতদূর গড়াবে তা এখনই বলা যাচ্ছেনা।