বাংলা হান্ট ডেস্ক : বয়স বাড়ছে, তাই শাশুড়ি চাইছেন তীর্থে যেতে। এদিকে নিজের ছেলেরা টাকা দিতে নারাজ তাদের মাকে। কিন্তু বাড়ির বৌ শিমুল এক আদর্শ বৌমা। বৃদ্ধা শাশুড়িকে সে পাঠাবেই তীর্থ ভ্রমণে। কিন্তু শাশুড়ির সন্দেহ তার কাছে টাকা এল কিভাব? শিমুলের কাছে গুপ্ত টাকা থাকলে তা বের করার নির্দেশ দেন তিনি। সাথে তিনি এও শুনিয়ে দেন যে, শিমুলের বাপের বাড়ির টাকা নিয়েও তিনি যাবেন না তীর্থ যাত্রায়।
শাশুড়ি মায়ের এমন কথা শুনে আদর্শ গৃহিণী বৌমা লজ্জায় নতমস্তক করতে বাধ্য হন। শিমুল বলেন, না সেই আত্মসম্মান বোধ তার আছে। এমন কিছুই সে করবে না। এরপর আবার শিমুলের শাশুড়ি সাফ জানিয়ে দেন যে, বর বা দেওরের থেকেও যেন টাকা না চায় শিমুল। তাতেও আপত্তি রয়েছে তার। শিমুল অবশ্য তার শাশুড়ি মাকে আশ্বাস দেন কিছু একটা ব্যবস্থা তিনি করবেনই!
আরও পড়ুন : সশরীরেই হাজির দিতে হবে তৃণমূল সাংসদকে, ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারিতে নুসরতকে নিয়ে বড় রায় আদালতের
এদিকে বেলা বেড়ে অবেলায় পড়েছে। শাশুড়ি মা ভাত না খাওয়ায় শিমুল তার জন্য চিড়ে ভাজা এবং গজা নিয়ে হাজির হয়। এমনকি শাশুড়িমাকে মাছ খাওয়াও ধরাবে সে! আবার শিমুলের কাকিশাশুড়ি বলেন যে হ্যাঁ ওর শাশুড়ি মাছ খেতে খুব ভালোবাসত। শিমুল নোটিশ করে শাশুড়ির শরীরে প্রোটিনের ভীষণ প্রয়োজন। লক্ষ্মীমন্ত বৌমা এবার বোঝাতে বসে কেন তাকে মাছ খেতেই হবে।
পরবর্তীতে দেখা যায় শিমুল বিপাশা ফোন করে সোনার দোকানে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। সেখান থেকে বেশ স্পষ্ট যে, শিমুল আসলে গহনা বন্ধক দিয়ে শাশুড়িকে তীর্থে পাঠাবে। কিন্তু এটা কি তার শাশুড়ি মেনে নেবেন? এখন দেখার, এই খবর জেনে শিমুলের বর বা শাশুড়ি কেমন প্রতিক্রিয়া দেয়।