বাংলাহান্ট ডেস্ক : শহরের বিভিন্ন মেট্রো প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে। জনসাধারণের জন্য দরজা খুলে যাচ্ছে একের পর এক নতুন নতুন মেট্রো স্টেশনের। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা যে কবে থেকে কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) অরেঞ্জ লাইন অর্থাৎ নিউ গড়িয়া (New Garia) থেকে বিমানবন্দর শাখায় বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে।
জানা গিয়েছে, খুব তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে। যত দ্রুত সম্ভব কবি সুভাষ, সত্যজিৎ রায়, যতীন্দ্র নন্দী, কবি সুকান্ত ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় স্টেশনের পর অরেঞ্জ লাইনের যুক্ত হতে চলেছে আরো চারটি স্টেশন। এই মেট্রো রুটেই যুক্ত হয়ে যাবে ভিআইপি বাজার, উত্তর পঞ্চান্ন গ্রাম, ধাপা ও বেলেঘাটা অঞ্চল। বলা বাহুল্য, রীতিমতো লোকচক্ষুর আড়ালে তৈরী হচ্ছে ভিআইপি বাজার মেট্রো স্টেশন।
আরোও পড়ুন : কৌশিকী অমাবস্যার রাতে তারাপীঠে বেচা হল কোটি টাকার মদ! সুরা বিক্রির অংকটা শুনলে চমকে উঠবেন
সূত্রের খবর, পিকনিক গার্ডেনের কাছে অবস্থিত এই স্টেশনে অত্যাধুনিক যাত্রী সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্টেশন সাইটের কংক্রিটিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে স্টেশন ও প্লাটফর্মের ছাদের স্ক্যাফোল্ডিংয়ের কাজ। কনকোর্স থেকে প্ল্যাটফর্ম এলাকায় এসকেলেটর বসানোর কাজও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই স্টেশনে ৮টি এসকেলেটর ও ৪টি লিফট ছাড়াও থাকবে ৬ টি সিঁড়ি। চারটি টিকিট কাউন্টার আছে।
আরোও পড়ুন : পুজোর আগে হলুদ ধাতু কেনার আজই কী সেরা সময়? কততে বিকোচ্ছে সোনা-রুপো, দেখুন
১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই মেট্রো স্টেশনের মেঝে সেজে উঠছে গ্রানাইটে। দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ ‘ফ্লোর ইন্ডিকেটর’ থাকবে বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে। এছাড়াও, যাত্রীদের সুবিধার্থে স্টেশনে থাকছে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড এবং এমার্জেন্সি লাইটের সুবিধা। মহিলা, পুরুষ এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য একটি করে শৌচাগার থাকবে। সেইসঙ্গে থাকবে দুটি ওয়াটার কুলার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের মধ্যে প্রথম মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছিল কলকাতাতেই। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত শহরের কিছুটা অংশ জুড়েই সীমাবদ্ধ ছিল মেট্রো। তবে এখন ধীরে ধীরে কলকাতা মেট্রো শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। জোকা থেকে বারাসত, গড়িয়া থেকে বিমান বন্দর- বলা বাহুল্য, আর কয়েক বছর পর সব জায়গাতেই মিলবে মেট্রো। এভাবেই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে তিলোত্তমা।