বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা পেরিয়ে শহরতলীতেও বিস্তার লাভ করেছে কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro)। একসাথে একাধিক রুটে কাজ চলছে কলকাতা মেট্রোর। এগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি করিডর হল ইস্ট-ওয়েস্ট। বর্তমানে মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই করিডরের হাওড়া স্টেশনে এএফসি-পিসি গেট বসানোর কাজ করছে।
কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড স্ট্রেচের মধ্যে অধিকাংশ স্টেশনেরই কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। বিদ্যুৎ, সৌন্দর্যায়ন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ চলছে জোর কদমে। সেই কাজগুলিও শেষের পথে। এই বছরের শেষের দিকে এই লাইন চালু করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে মেট্রোর।
আরোও পড়ুন : টলিউডের একমাত্র কাশ্মীরি পণ্ডিত অভিনেতা ভরত কল হয়ে গেলেন কোটিপতি! ঠিক কী ঘটেছে?
এই লাইনে মেট্রো যাতায়াত শুরু হলে অনেকটাই কমে যাবে কলকাতার সাথে হাওড়ার দূরত্ব। নদীর নিচ দিয়ে সংযুক্ত হবে হাওড়া ও কলকাতা। এই করিডরে হাওড়া স্টেশনটি মাটির পঁয়ত্রিশ মিটার গভীরে অবস্থিত, এরফলে এটি হয়ে উঠতে চলেছে দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন। হাওড়া-এসপ্ল্যানেড মেট্রো রুট চালু হলে হাওড়া স্টেশনে যাত্রীরা নেমে সহজেই মেট্রো ধরতে পারবেন।
আরোও পড়ুন : ‘মা তোমার এত রূপ…’ গানে এবার মাতবে বাংলার পুজো প্যান্ডেল, স্পেনে বসেই লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
হাওড়া স্টেশনে মোট ৩২ টি কনকোর্স স্তরে AFC-PC গেট বসানোর কাজ চলছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণ ও স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহের জন্য কাজে লাগবে এই গেট। ৩০টির মধ্যে ২০টি গেট হতে চলেছে দ্বিমুখী, এগুলি পিক আওয়ারে যাত্রীদের চলাচলের দিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে। এগুলোর মধ্যে হুইলচেয়ার আবদ্ধ গেট থাকবে দুটি।
বাকি ১২টি গেটের মধ্যে ৬ টি প্রস্থান ও ৬ টি প্রবেশের গেট হবে। জানা যাচ্ছে, প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারে এই স্বয়ংক্রিয় গেটগুলি। মেট্রো টোকেন বা স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করে এই গেটের মাধ্যমে ঢুকতে বা বের হতে পারবেন যাত্রীরা। এছাড়াও এই গেটে থাকবে কিউআর কোড স্ক্যানার ভিত্তিক টোকেন পরিষেবা।