বাংলা হান্ট ডেস্ক: “মেড ইন ইন্ডিয়া” iPhone থেকে “মেড ইন ইন্ডিয়া’ ল্যাপটপ, ভারত (India) এই সময়ে সমস্ত ইলেকট্রনিক পণ্যগুলিতে তার ছাপ রেখে যাওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই সেমিকন্ডাক্টরের (Semiconductor) ক্ষেত্রেও বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে গুজরাটে (Gujarat) একটি বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যেখানে মাইক্রন টেকনোলজির প্ল্যান্টের ভূমি পুজো ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই প্ল্যান্টের নির্মাণ কাজ করছে টাটা প্রজেক্টস।
দেশে চিপ উৎপাদনকারী প্রথম কোম্পানি: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর হাব তৈরি করার লক্ষ্যে, মাইক্রন টেকনোলজি হবে দেশে চিপ উৎপাদনকারী প্রথম কোম্পানি। গত শনিবার তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ ওই রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এবং গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের উপস্থিতিতে গুজরাটের সানন্দে সেমিকন্ডাক্টর টেস্টিং এবং অ্যাসেম্বলিং প্ল্যান্টের ভূমি পুজো সম্পন্ন হয়। এদিকে, সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই নিয়োগও শুরু হয়েছে।
চুক্তি হয়েছিল জুন মাসে: উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমেরিকা সফরের তিন মাস পর এই প্ল্যান্টের কাজ শুরু হয়েছে। এই বছর ২০২৩ সালের জুন মাসে, প্রধানমন্ত্রী মোদী আমেরিকা সফরের সময়ে মাইক্রনের শীর্ষ আধিকারিকদের সাথে দেখা করেছিলেন এবং দেশে একটি সেমিকন্ডাক্টর প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য মাইক্রন টেকনোলজির সাথে চুক্তি হয়েছিল। এমতাবস্থায়, মাত্র তিন মাস পর মাইক্রন তার প্ল্যান্ট শুরু করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, সংস্থাটির প্রস্তাবিত বিনিয়োগ হল ২.৭৫ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি, এটি হল ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন (ISM)-এর অধীনে সবথেকে বড় বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত রেলের! ১০ গুণ বাড়ল ক্ষতিপূরণের পরিমাণ
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আসবে প্রথম “মেড ইন ইন্ডিয়া” চিপ: এদিকে, ভূমি পুজোর পর কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এটি ডাবল ইঞ্জিন সরকারের উদাহরণ। চুক্তির কয়েক মাসের মধ্যেই প্ল্যান্টটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গেল। পাশাপাশি, তিনি আরও বলেন, এই প্ল্যান্টে কাজ শুরুর পর প্রথম চিপ ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে রোল আউট হবে। এছাড়াও, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী বছরগুলিতে মাইক্রনে ৫,০০০ প্রত্যক্ষ চাকরি এবং ১৫,০০০ অন্যান্যভাবে কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। উল্লেখ্য যে, গুজরাটের সানন্দে নির্মিত এই প্ল্যান্টটি ২ ধাপে তৈরি করা হবে।
দেশে ২ লক্ষ কোটি চিপের চাহিদা: পাশাপাশি, ভারতের সামর্থ্যের প্রতি আস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, বর্তমানে দেশে ২ লক্ষ কোটি চিপের চাহিদা দেখা যাচ্ছে এবং আগামী বছরগুলিতে তা বেড়ে ৫ লক্ষ কোটি হবে। তাঁর মতে, “আমরা যেভাবে কাজ করছি তাতে খুব শীঘ্রই ভারত চিপসের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিও করতে পারব।” উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে লঞ্চ হওয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশনের লক্ষ্য ছিল ভারতকে সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজিতে একটি প্রধান দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।