বাংলাহান্ট ডেস্ক : মারাঠা রাজনীতিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে। গেরুয়া শিবিরের একটি অনুষ্ঠানে অজিত পাওয়ারের অনুপস্থিতিতে সেই গুঞ্জন যেন আরোও খানিকটা বেড়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, অজিত পাওয়ার কী তাহলে বিজেপি শিবির ত্যাগের পরিকল্পনা করছেন ? অমিত শাহের অনুষ্ঠানের পরেই দু’য়ে দু’য়ে চার করার চেষ্টা করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার অমিত শাহ (Amit Shah) মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস উপস্থিত থাকলেও সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন না অজিত পাওয়ার।সেই সময় অজিত পাওয়ার নাকি বারামতির পূর্ব-পরিকল্পিত বাজার কমিটির বার্ষিক কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন বলেই সূত্রের খবর।
আরোও পড়ুন : সুসংবাদ! পুজোর আবহে বড়সড় ঘোষণা রাজ্যে, সরকারী কর্মচারীদের এবার সোনায় সোহাগা
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অজিত পাওয়ারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, ” বর্তমানে আপনি ঠিক কোথায় আছেন?” এই সভায় অজিত পাওয়ার বলেন, “আজ আমি সরকারে আছি, আমি মন্ত্রিসভায় আছি, আমার হাতে অর্থ বিভাগ আছে, তাই আমরা এতে উপকৃত হচ্ছি, তবে এটি আগামীকাল থাকবে কি না জানি না। কালের কথা কেউ জানে না!”
আরোও পড়ুন : যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য বিরাট উদ্যোগ, এবার রেল যা করল, শুনে অবাক হবেন
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে সময় সরকারে অজিত পাওয়ার (Ajit Pawar) যোগদান করেন সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং তাঁর সহকর্মীদের অসন্তোষ রীতিমত খবরের হেডলাইন্স হয়। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে হোক বা তাঁর সমবায় মন্ত্রী কিংবা বিধায়করা, অজিত পাওয়ারের সরকারে যোগদান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
শিবসেনা-বিজেপি সরকারে যোগদানকারী উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের শনিবারের এই বক্তব্যের পর ফের একবার মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। অনেকেই এই আবহে প্রশ্ন করেছেন, সরকারে যোগ দেওয়ার পর কি অজিত পাওয়ার ইচ্ছামত কাজ করতে পারছেন না, নাকি তাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না?
শারদ গোষ্ঠীর জয়ন্ত পাতিল শনিবারের ঘটনায় বলেছেন, “আমি খুশি যে অজিত পাওয়ার সতর্ক। তার যেখানে সঙ্গত মনে হয়েছে তিনি গেছেন। এতে সরকারের প্রতি অবিচার হচ্ছে কিনা বলতে পারব না। বিষয়টি তাদের অভ্যন্তর ব্যাপার।” তবে অজিত পাওয়ারের এই মন্তব্যের পরেই তার দলবদলের জল্পনা আরও জোরালো হল বলেই রাজনীতিবিদদের মত।