বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। মামলার জট এখনও খোলেনি। হকের চাকরি, নিয়োগের দাবিতে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী রাস্তায় নেমেছে, আদালতে চলছে একাধিক মামলা। তবে এরই মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে গত বছরের মত এবারও ডিসেম্বর মাসেই আয়োজিত হতে চলেছে প্রাথমিকের টেট (Primary TET Exam)।
ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রাথমিকের টেট (TET) পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন প্ৰতি বছরই দু বার করে নেওয়া হবে প্রাথমিক টেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত যা আবেদন জমা পড়েছে তার সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ। এই আবেদনগুলির জন্য নির্ধারিত আবেদন ফি জমা পড়েছে।
অন্যদিকে এখনও আবেদন ফি জমা পড়েনি এমন আবেদনের সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুন। ২ লক্ষের কাছাকাছি। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এবছর টেটে বসার জন্য কিছু পরীক্ষার্থী-এর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গত বছর থেকে নিয়মে এসেছে পরিবর্তন। গত বছর প্রায় সাত লক্ষ চাকরি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে পরীক্ষায় বসেছিলেন ৬ লক্ষ ২০ হাজার। তবে এবার সংখ্যাটা অনেকটাই কম হবে, এমনটাই সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: অপেক্ষা শেষ! প্রাথমিকে নিয়োগ নিয়ে বড় আপডেট দিল SSC, কমিশন চেয়ারম্যানের কথায় খুশির হাওয়া
কিছুদিন আগে নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় প্রাথমিক (Primary) স্কুলে শিক্ষকতা করতে হলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের D.El.Ed বা D.Ed ডিগ্রি থাকতেই হবে। অর্থাৎ কারও যদি বিএড ডিগ্রি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে সেই সমস্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও এবার থেকে প্রাথমিকে আবেদন করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: মোট কতদিনের বকেয়া DA পাবেন রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা? সামনে এল বড় আপডেট
যদি কোনও চাকরিপ্রার্থীর B.Ed এবং D.El.Ed বা D.Ed উভয় প্রশিক্ষণই নিয়ে থাকেন তবে প্রাথমিকে অবশ্যই চাকরি করতে পারবেন। সেই নির্দেশ মেনেই বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা এবার থেকে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে পর্ষদ। তাই আবেদনকারীর সংখ্যাটাও আগের থেকে কম হবে।
জানিয়ে রাখি, ২০২৩ সালের প্রাথমিক টেট হবে ১০ ডিসেম্বর, রবিবার। পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার খবরের কাগজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে আবেদন প্রক্রিয়া নিবন্ধীকরণের কাজ শুরু হবে।”