৯ ‘কয়লা’, ১১ ‘নারোলা’! কেন রাজ ভবনের সামনে ধর্নায় অভিষেক? শুভেন্দুর পোস্ট নিয়ে হইচই

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্যে। শিক্ষক কেলেঙ্কারি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, তৃণমূলের নেতা, বিধায়ক থেকে শুরু করে বহুজনা। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির নজরে এবার গোটা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। আগামী ৯ অক্টোবর সোমবার, ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার জন্য তলব করা হয় তৃণমূল সাংসদকে।

অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামী সপ্তাহে ১১অক্টোবর হাজিরার জন্য তলব করেছে ইডি। জিজ্ঞাসাবাদের অভিষেক মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ অক্টোবর ও বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৭ অক্টোবর জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। সবমিলিয়ে ইডির (ED) স্ক্যানারে অভিষেকের গোটা পরিবার।

যদিও ইডি সমন ডোন্ট কেয়ার। বর্তমানে রাজ্যের বঞ্চিত মানুষদের জন্য পথে নেমেছেন অভিষেক। দিল্লির পর এবার বাংলার বঞ্চিতদের প্রাপ্য আদায়ে রাজ ভবন ধর্না। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য পাওয়া আদায়ে পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। এই দাবি নিয়েই এখনও রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)।

আরও পড়ুন: বছরের পর বছর নিয়ম ভেঙে নিয়েছেন টাকা! মানিকের বিরুদ্ধে মারাত্মক পদক্ষেপ হাইকোর্টের

তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ডের সাফ কথা, যতক্ষণ পর্যন্ত রাজ্যপাল এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতি না দিচ্ছেন, ততক্ষণ এই ধরনা চলবে। ওদিকে অভিষেকের এই দিল্লি, বাংলা ধর্না নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

post suvendu

https://www.facebook.com/photo/?fbid=893928908758726&set=a.545691613582459

নিজের ফেসবুকে এক ক্যালেন্ডার পোস্ট করে উপরে দু লাইনে শুভেন্দু লেখেন, ‘পুলিশি মদতে মঞ্চস্থ ধর্না জনস্বার্থে না পরিবারের স্বার্থে?’ নিত্য নতুন ভুয়ো কর্মসূচীর আছিলায় না যাওয়ার বাহানা !!! ওদিকে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা সেই ক্যালেন্ডারের ওপরের দিকে গরু ও কয়লার ছবি।
আর ৬ ও ৭ তারিখের নীচে লেখা মা, বাবা। পাশাপাশি ৯ তারিখের নীচে লেখা কয়লা ও ১১ তারিখের নীচে লেখা নারোলা। ঠিক এভাবেই খোঁচা দেন শুভেন্দু।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর