সরাসরি চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টকে, কামদুনি কাণ্ডে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ রাজ্য! কেঁদেই চলেছেন মৌসুমী, টুম্পা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টে কামদুনি কাণ্ডের রায় প্রকাশের পর শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য জুড়ে। নির্যাতার পরিবারও রায় নিয়ে রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করে। কলকাতা হাইকোর্টের কামদুনি কান্ডের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার দ্বারস্থ হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

সিআইডির পক্ষ থেকে জানা গেছে ইতিমধ্যেই তারা আইনি পরামর্শ নেওয়াও শুরু করেছে। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুক্রবার কামদুনি কান্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, লঘু করা হচ্ছে কামদুনি কান্ডে ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা। রায় শোনার পর অশ্রু জলে ভেসে যায় কামদুনিকাণ্ডের প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী, টুম্পাদের চোখ।

আরোও পড়ুন : ১৫ অক্টোবরেই ছুটবে বাংলার প্রথম AC লোকাল! চড়তে গেলে খরচা কত? দেখুন রেলের হিসেব

এই দুজনের আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, খালাস করে দেওয়া হচ্ছে নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকেও। আদালত জানায় এই তিনজন যেহেতু দশ বছর জেল খেটে ফেলেছেন, তাই এদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা বঙ্গ জুড়ে। রায় শোনার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার ভাই।

kamduni case

২০১৩ সালের ৭ জুন উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার সময়ে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এমনকি ধর্ষণের পর খুনের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কামদুনি কান্ডকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য সহদেশ। স্থানীয় মহিলাদের নেতৃত্বে জায়গায় জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। দীর্ঘ দশ বছর পর কলকাতা হাইকোর্ট আজ এই ঘটনার রায় প্রদান করল।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর