বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি’র দুর্নীতি! কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এবার কোমর বাঁধল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (Central Bureau Of Investigation)। শনিবার সকালে সমবায় সমিতির ম্যানেজার তৃপ্তিকণা চৌধুরী ও হিসাবরক্ষক শম্পা চৌধুরীর বাড়িতে হানা দেয় CBI. চলছে জোর তল্লাশি।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারের এই সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে ওই জেলার বহু মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিআইডি। বিগত তিন বছর ধরে ওই আর্থিক তছরুপের (Money siphoning case) তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার পরও তার কোনও কিনারা করতে পারেনি সিআইডি (CID)। এরপর কলকাতা হাইকোর্টে যায় মামলা।
এরপর CID তদন্তের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই এর হাতে মামলার তদন্তভার তুলে দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। সবমিলিয়ে যার পরিমাণ মোট ৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ‘আমি আর শুনানি করছি না…’, ভরা এজলাসে বসেই যা বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
বিনিয়োগকারীদের থেকে নেওয়া ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসাবে খাটিয়ে পরে সঠিক সময়ে সকলে ফেরত পাবেন জানানো হয়েছিল সেই সংস্থার তরফে। টাকা ফেরত পাওয়ার সময় হলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। এরপরেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে CID. যদিও সিআইডি তদন্তের কিনারা করতে না পারায় তা যায় সিবিআই এর হাতে তুলে দেন বিচারপতি।
পরে বিচারপতির সেই রায় পুনর্বিবেচনার আরজি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় সিআইডি। সেই আর্জি মঞ্জুর করা তো দূর, উল্টে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজ্যকেই ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা উঠলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল থাকে। এরপর ৫০ কোটির আর্থিক দুর্নীতির এই মামলার একযোগে তদন্তে নেমেছে ইডি-সিবিআই। আজ সেই নিয়েই চলছে তল্লাশি।
সূত্রের খবর, সমিতির ম্যানেজার ও হিসাবরক্ষকের পাশাপাশি সমবায় কর্মী পঙ্কজ গুহ আচার্য এবং তার ভাই পান্না গুহ আচার্যের বাড়িতে এদিন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।