বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্যে। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক থেকে শুরু করে বহুজনা। এই আবহেই এবার পুর নিয়োগ দুর্নীতি (Municipality Recruitment Scam) মামলার তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছে ইডি-সিবিআই। সম্প্রতি এই মামলায় মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।
রবিবার সাতসকালে ফিরহাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যায় সিবিআই। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলে চিরুনি তল্লাশি। সন্ধ্যায় সিবিআই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মেয়র। প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তিনি। সেই একই সুর ফের শোনা গেল ফিরহাদের মুখে। সোমবার তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ থেকে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গত বছর জুলাই মাসে ইডির হাতে গ্রেফতারের পরই তাকে দল থেকে বের করে দেয় তৃণমূল। সেই ইস্যু টেনে এদিন ফিরহাদ বলেন, “ব্রাত্যর আগে একজন (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) ভুল করেছে। অভিষেক, আমরা বসে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। এখন যদি আমার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি প্রমাণিত হয়ে থাকে তাহলে আমাকেও (অভিষেক) দল থেকে তাড়িয়ে দেবে। আমাদের দলে এসব নিয়ে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।
আরও পড়ুন: সময় মাত্র ৪ সপ্তাহ! শিক্ষক মামলায় বিরাট নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, বেজায় খুশি সকলে
খানিক পরেই অভিষেকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফিরহাদ বলেন, “ছেলেটা (অভিষেক) দিন রাত এখানে (ধর্না) বসে আছে, বাড়ি যাচ্ছে না, এটাও কী সেটিং? দিল্লিতে গেলে পুলিশের লাঠি মার খাচ্ছে। এটাও সেটিং? আসল সেটিং হচ্ছে হাইকোর্টে যেখানে সিপিএমের কেউ কেউ নির্দিষ্ট কোর্টে যাচ্ছে আর কোর্ট এজেন্সি তদন্তের কথা বলছে।” নিজের কথায় বামদেরও নিশানা করেন ফিরহাদ।
পুরমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের মধ্যে দু একজন যা অন্যায় করেছে তার বিচার আইনি পথেই হবে। চাঁদে কলঙ্ক থাকতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও দাগ নেই।” পাশাপাশি এদিন নারদা নিয়ে শুভেন্দুকেও একহাত নেন ফিরহাদ।