বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ফের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়। সম্প্রতি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্কাকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay)। বুধবার সেই রায় খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)।
‘অধ্যক্ষ হওয়ার যোগ্যতা নেই’, এই মন্তব্য করে অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি! পাশাপাশি তার ঘরে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে তালা মারার নির্দেশ দেন বিচারপতি। এই নির্দেশের পরই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় অধ্যক্ষকের ঘরে। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন মহাবিদ্যালয়ের (Jogesh Chandra law college) অধ্যক্ষ।
বুধবার অধ্যক্ষকের করা সেই মামলাতেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ করে দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারকে অধ্যক্ষের অফিসের তালা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ‘পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ, রথীনদের ভূমিকা কী?’, অবশেষে মুখ খুললেন অয়ন, বললেন…
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, কাল থেকেই বাধাহীন ভাবে কলেজে প্রবেশ করতে পারবেন অধ্যক্ষ। পাশাপাশি অক্টোবর মাসের স্বাভাবিক বেতনও পাবেন তিনি। এদিন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মোবাইলে কথার ভিত্তিতে অধ্যক্ষকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি একক বেঞ্চের।
যদিও এই মামলার পরবর্তী শুনানি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসেই হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। প্রসঙ্গত, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েন্কাকে পদ থেকে সরানোর পাশাপাশি ওই কলেজের আরও এক অধ্যাপক অচিনা কুন্ডুকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। তারও কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এই দুই জনারই পদে বসার জন্য যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রসঙ্গত রাজ্যের কলেজের অধ্যাপক এবং অধ্যক্ষদের যোগ্যতামান স্থির করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (UGC)। ইউজিসির নির্দেশিকা অনুযায়ী যোগ্যতা না থাকায় তাদের অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি জানিয়েছিলেন ওই দুই ব্যক্তি যদি নিজেদের যোগ্যতা সম্পর্কে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারলে তাদের পুনর্বহাল করা হবে। এরই মধ্যে ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ হয়ে গেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চের রায়।