বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতে মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ইসরোর। যত সময় এগিয়েছে ততই ইসরো সৃষ্টি করেছে নতুন নতুন ইতিহাস। কিছুদিন আগেই চাঁদের মাটিতে পদার্পণ করে ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরো ছুঁয়েছে নতুন মাইল ফলক। যখন চারদিকে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থার নামে জয় ধ্বনি উঠছে, তখন ইসরো কর্মী নিয়োগ করতে হিমশিম খাচ্ছে।
দেশের বড় বড় আইআইটিগুলি থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করার ইচ্ছা থাকলেও, ইসরোর বেতন পরিকাঠামো দেখে বহু শিক্ষার্থী পিছিয়ে যাচ্ছেন। ISRO প্রধান এস সোমনাথ নিজে এ কথা জানিয়েছেন সবাইকে। এস সোমনাথের কথায়, মহাকাশ গবেষণায় আগ্রহ আছে বহু পড়ুয়ার, কিন্তু বেতন পরিকাঠামো দেখে তারা ইসরোতে যোগদান করতে ইচ্ছুক নয়।
আরোও পড়ুন : বেতন ১৮ হাজার! মাধ্যমিক পাশে সহজেই মিলবে পোস্ট অফিসে চাকরি, জারি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি
টেনেটুনে হয়ত ১ শতাংশের মতো পড়ুয়ারা যোগদান করেন, তাও মহাকাশ গবেষণাকে ভালোবাসেন বলে হয়ত। ISRO প্রধান সোমনাথ সম্প্রতি বলেছেন, “ইঞ্জিনিয়াররা মূলত আমাদের সংস্থার সবথেকে দক্ষ কর্মী। এই ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন আইআইটি থেকে। কিন্তু আজকাল ইসরোতে আইআইটির পড়ুয়ারা যোগ দিতে চাইছেন না। আমরা চেষ্টা চালাই গিয়ে, কিন্তু যোগ দেন না কেউ।”
আরোও পড়ুন : আজ থেকেই একেবারে পাল্টে যাবে দিঘার রূপ! হঠাৎ কী হল সৈকত নগরীর ?
তিনি জানিয়েছেন, “আমাদের টিম পড়ুয়াদের ইসরোয় কাজের সুযোগ সুবিধার কথা বোঝাচ্ছিল। প্রথমে তাদের বোঝানো হয় এখানে কী ধরনের কাজ করতে হয়, কী কী সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায়। এরপর তাদের জানানো হয় বেতন পরিকাঠামো। কত টাকা সর্বোচ্চ বেতন মিলতে পারে তাও বলা হয়। এরপর দেখা যায় বেতন পরিকাঠামো শুনে ৬০ শতাংশ ছেলে-মেয়ে বেরিয়ে গেছেন।
একবার একটি আইআইটি থেকে কর্মী নিয়োগ করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন ইসরো প্রধান। ২.৫ লক্ষ টাকা মতো বেতন পেয়ে থাকেন ISRO প্রধান এবং মহাকাশ বিভাগের সচিব। ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন ৫৬ হাজার টাকা মতো। তাছাড়াও সম্প্রতি সামনে এসেছে দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়ার মতো ঘটনাও।